কক্সবাজারের চকরিয়ায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বাবলু-এহেসানের নেতৃত্বাধীন বালুখেকো সিন্ডিকেট। মাতামুহুরী নদী চরের বালু যেন বালিখেকোদের কাছে সোনার হরিণ। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক একাধিকবার অভিযান পরিচালনা পরও থামাছে না অবৈধ বালি লুট। অভিযান করে তিনটি মেশিন জব্দ করলে বালিখেকোরা ফের একই জায়গায় ৭টি শ্যালোমেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। যা প্রশাসন ও চলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল। বালু উত্তোলনে নদীর পাড় ভেঙ্গে খাদ তৈরীর কারনে মাতামুহুরি তীরবর্তী কৃষকদের আবাদী জমি বিলীন হচ্ছে মাতামুহুরির গর্ভে। একই সাথে জমি হারাচ্ছে নাব্যতা। ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য প্রজনন ব্যবস্থা। সরেজমিন, চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালি ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় দেখা যায়, ১নং গাইড বাদের পূর্ব পার্শে দিগর পানখালি এলাকার স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ অন্তত ২০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়েছ বালু ভর্তি ওভার লোডেড ডাম্পার ট্রাক চলাচলের কারনে। দৈনিক ২০/৩০টি ডাম্পার ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন দুই শতাধিক গাড়ি বালি পরিবহন করা হয় এ গ্রামীণ সড়কটি দিয়ে। প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এছাড়াও এ অবৈধ বালি উত্তোলনের কারণে বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এদিকে, এসব বালি কে বা কারা উত্তোলন করতেছে তা জানতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, জিয়া উদ্দিন বাবলু, মোহাম্মদ এহসান, নোমান, বুলেট ফারুক, হেলাল উদ্দিন, ইব্রাহিম খোকন নামক ৬ ব্যক্তির নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট এসব বালি উত্তোলন করছেন। পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড বালি উত্তোলনে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসীকে। অন্যদিকে, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমানের সাথে অবৈধ বালি উত্তোলনের বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, নদী কিংবা সড়ক ব্যবস্থা ধ্বংস করে বালি উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অতিশীঘ্রই সমূহস্থানে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।