সোনার প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে চীনে। ফলে, বিশ্ববাজারে দ্রুত বাড়ছে সোনার দাম। বিশ্ব জুড়ে যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চলছে, এবং চীনেও যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চলছে, তার মধ্যে সকলের মনে হচ্ছে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হচ্ছে স্বর্ণ। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গত বছরের শেষ দিকে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে। তবে, এই মুহূর্তের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, এবার মূলত চীনের মানুষের সোনা কেনার হিড়িক পড়ে যাওয়ার জন্যেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এত বেড়েছে। চীনাদের সোনা কেনার হিড়িকের সাথে যুক্ত হয়েছে ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনার রিজার্ভ বৃদ্ধির বিষয়টিও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের সম্পর্ক তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন বন্ড কেনা কমিয়ে দিয়েছে চীন। এমনকি আগের কেনা বন্ডও ছেড়ে দিচ্ছে।
এমনিতেই বিশ্বসোনাবাজারে চীনের বড় রকম প্রভাব বরাবরই আছে। এবার ওই প্রভাব আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। চীনের বাজারে সোনা কেনার গতি বরাবরই ছিল; কিন্তু এখন যেন প্রবল বন্যার পানির মতো চীনের বাজারে সোনা ঢুকছে। চায়না গোল্ড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম ভাগে চীনের বাজারে সোনা কেনাবেচা বেড়েছে ৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শেষভাগ থেকে এখন পর্যন্ত সোনার দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
দেশটির বাজারে সোনার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনার রিজার্ভ বৃদ্ধি। গত মার্চ মাসেও সোনা কেনা হয়েছে। ফলে এ নিয়ে টানা ১৭ মাস সোনার রিজার্ভ বাড়িয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছর বিশ্বের যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি সোনা কিনেছে। গত ৫০ বছরে তারা আর কখনোই এত সোনা কেনেনি। তা সত্ত্বেও চীনের রিজার্ভে সোনার হার মাত্র ৪.৬, যেখানে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এই অনুপাত দ্বিগুণ। সূত্র : জি নিউজ