বগুড়ার গাবতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ হাজার ৮৫৭ ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কৃষিবিদ অরুন কান্তি রায় সিটন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিনেওয়াজ খান রবিনকে পরাজিত করে প্রথম বার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বেসরকারিভাবে উপজেলার ৯৮টি কেন্দ্রের সবকটির চূড়ান্ত ফলাফলে অরুন কান্তি রায় সিটন ঘোড়া নিয়ে ৪১ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৫২ভোট। নির্বাচন কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, গাবতলীতে উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৮০ হাজার ৯২৮ জন। এরমধ্যে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বুধবার ভোট প্রদান করেন ৮৬ হাজার ৯০৭ জন ভোটার। ভোট প্রদানের শতকরা হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রসঙ্গত, বিজয়ী অরুন কান্তি রায় সিটন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় সাংসদ সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (সজল) ৩৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম মন্টু পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৩ ভোট।বুধবার? (৮ মে) রাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।এছাড়াও নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. লিখন মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে ১৮ হাজার ৯৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছাঃ কুলছুমা পারভীন প্রজাপতি প্রতীকে ২৬ হাজার ২৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারও বিজয়ী হয়েছেন অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লিটন। তিনি বগুড়া-১ আসনের সংসদ সংসদ সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই।?? অপরদিকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর,কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আক্কেলপুরে মোকছেদ আলী মন্ডল, কালাইয়ে মিনফুজুর রহমান মিলন, ও ক্ষেতলালে দুলাল মিয়া সরদার। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ১০৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। গনোনা শেষে রাত ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার ফজলুল করিম বেসরকারী ভাবে এই ফলাফল ঘোষনা করেন। আক্কেলপুর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকসেদ আলী মাস্টার মোটরসাইকেল মার্কায় ১৯৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার নুরুন্নবী আরিফ আনারস মার্কায় পেয়েছেন ৩১৮৮ ভোট। কালাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন মোটরসাইকেল মার্কায় ৪২৪৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আনারস মার্কার তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল পেয়েছেন ৩০৯৪৩ ভোট। ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার দোয়াত কলম মার্কায় ৩০৪০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা তাইফুল ইসলাম তালুকদার মার্কায় পেয়েছেন ২২৯০০ ভোট।