লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান । ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক, জেলা আওয়মীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন, দু’বার জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়ে নানমুখী উন্নয়ন করায় তিনি এখন জেলাবাসীর আস্থার প্রতীক। মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে লালমনিরহাট। একটার পর একটার উন্নয়ন হচ্ছে জেলার সব জায়গায়। শুধু তার নির্বাচনী এলাকাই নয়, পুরো জেলাবাসীর আস্থার ঠিকানা যেন এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান। তৃণমুল পর্যায় থেকে উঠে আসা এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান সততা নিষ্ঠার সাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করায় তিনি ্এবারে বিপুল ভোটে লালমনিরহাট-৩ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে তিনি এখন জেলাবাসীর প্রান। নিজের যেন চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই তার। জেলা উন্নয়নে জেলাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তনে জেলার একপ্রান্ত থেকে আর প্রান্ত ছুটে চলেছেন তিনি। রাজপথের এ লডাকু সৈনিক ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র। এ সময় তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ স্বাধীনের ঐতিহাসিক ভাষনের ডাকে ছাত্র রাজনীতিতে নৌকা মার্কার পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিটিং মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে চলে আসেন আওয়ামী রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তার দুর্দান্ত সাহসিকতায় রাজপথে মিটিং মিছিলে নৌকার পক্ষে আহবানের শ্লোগানে শিহরিত হয়ে উঠে সাধারন মানুষের মন। তার ডাকে ঘরে থাকতে পারেনি এ অঞ্চলের মানুষ। হাজার হাজার মানুষ তার নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিটিং মিছিলে অংশগ্রহন করে প্রকম্পিত করে রাজপথ। মতিয়ার ভাই এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু দিয়েছে ডাক হানাদার বাহিনী নিপাত যাক, মতিয়ার তোমার ভয় নাই আমরা জনতা তোমার ভাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এ সৈনিক ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে সহযোগিতা করেছেন। নিজবাড়ী হতে খাবার ও পানি সরবরাহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে পৌছে দিতে কুন্ঠাবোধ করেননি বঙ্গবন্ধুর এ সৈনিক। মুক্তিযোদ্ধা ও পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির মাঝে তিনি খাবার নিয়ে যেতেন নিজের জীবন উৎসর্গ করে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাড়িয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ছুটোছুটি যেন ছিল আতংকিত মৃত্যুর অলিখিত এক ইতিহাস। দেশ প্রেমিক এ যোদ্ধা ১৯৭৩/৭৪ সালে তিস্তা কে আর খাদেম উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও তিনি গোপনে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ীমী রাজনীতিতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক বাংলদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সরকারী কলেজ শাখা, ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট কলেজ শাখা, ১৯৮১ সাল হতে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখা, ১৯৮৪ সাল হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখা, ১৯৯২ সাল হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখা, ২০০৬ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখা, ২০১২ হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ লালমনিরহাট জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সাল হতে ২০২৪ সাল পযন্ত পর্যায়ক্রমে ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, সাধারন সম্পাদক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি ও মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে নানামুখী উন্নয়নে দায়িত্ব পালন করে দলকে সু-সংগঠিত করে গড়ে তোলায় তিনি হয়ে উঠেছেন জেলাবাসীর আস্থার প্রতীক। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন সংগ্রামে হামলা মামলা ও নির্যাতনেও পিছপা হননি তিনি। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও নানামুখী উন্ন্য়ন ও মানব সেবায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসে তার অবস্থান। ফলে এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে লালমনিরহাট-৩ আসনের এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন সংগ্রামে ১৯৭৯ সালে তিনি তৎকালীন সরকারী দলের সন্ত্রাসী এবং স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ কর্তৃক হামলার শিকার হয়ে মারাত্বক আহত হন। ২০০২ সালের ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তৎকালীন সরকার দলীয় কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর আক্রমনের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশনে কারাভোগ করেন এবং মহামান্য হাইকোটের আদেশে মুক্তির পর পুনরায় দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। উল্লেখ্য যে, দ্রুত বিচার আইনের মামলাটি চ্যালেঞ্জ করে উল্লেখিত আইনের কার্যকারিতার উপর নিষেধাজ্ঞা লাভ এবং জামাত বিএনপি জোট কর্তৃক আনীত মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। লালমনিরহাট বাসীর মহাপুরুষ এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এমপি একাধারে সভাপতি জেলা আইনজীবী সমিতি, সভাপতি পরিচালনা পর্ষদ তিস্তা আলিয়া মাদ্রাসা, বেগম কামরুন্নেছা মহাবিদ্যালয়, কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খুনিয়াগাছ এস সি উচ্চ বিদ্যালয়, মানবধিকার সংস্থা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, উকিলপাডা জামে মসজিদ, কাচারী পাড় জামে মসজিদ, বেলেরভিটা স্বার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বারহাত কালীমন্দির। প্রধান পৃষ্টপোষক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা ও আবৃতি পরিষদ, প্রধান উপদেষ্টা জাকির স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার, সদস্য ট্রাস্টিবোর্ড ডায়াবেটিক সমিতি, লালমনিরহাট। এ ছাডাও তিনি বিভিন্ন সামাজিক মানব সেবামুলক সংগঠনের সাথে জড়িত। জনপ্রিয় এ নেতা ২৬/১২/২০১১ইং হতে ৩০/১২/২০১৬ ইং পর্যন্ত প্রশাসক জেলা পরিষদ, ০৬/০১/২০১৭ ইং হতে ১৩/০৪/২০২২ ইং পর্যন্ত চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ, ২৭/০৪/২০২২ইং হতে ১১/০৯/২০২২ইং পর্যন্ত প্রশাসক জেলা পরিষদ, ২৩/১১/২০২২ইং হতে ২৭/১১/২০২৩ ইং পর্যন্ত চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে শেখ রাসেল শিশু পার্ক, ভাষা আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শীর্ষক মুর্যাল সম্বলিত মুক্তিযোদ্ধ মঞ্চ নির্মান, জেলার প্রবেশদার নির্মান, দুইটি অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটরিয়ম কাম মাল্টি পারপাস হল নির্মান, তিনটি ডাকবাংলা নির্মান, শহীদ মিনার নির্মান, জেলার প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় অনুদান প্রদান, কবরস্থান, ঈদগা মাঠ সংস্কার, অধুনালুপ্ত ছিটমহল সমূহে মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষে সেলাই ও হস্তশিল্প প্রকল্প, নিরপিদ পানি সরবরাহ প্রকল্প, আউটসোর্সিং প্রকল্প চালু, পঙ্গু ও বয়স্কদের হুইল চেয়ার প্রদান, শিক্ষার্থীদের অর্থ ও বাই সাইকেল প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড-ডে মিল এর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, দরিদ্র পরিবারে বিবাহ ও চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রদান, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শিশু ও কিশোর যুবকদের মাঝে শিক্ষামুলক প্রতিযোগিতার আয়োজন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা প্রদান, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনাদের সম্মাননা প্রদান, কোভিট-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় লক ডাউনের সময় দরিদ্র জনসাধারনের মাঝে ০১ কোটি ৯ লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় মালমাল সরবরাহ করন, কোভিট মোকাবেলায় নিজস্ব তহবিল হতে পঞ্চাশ হাজার টাকার খাদ্য দ্রব্য ও প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ, শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র ও শীতের চাদর বিতরন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে অধুনালুপ্ত ছিটমহল ভিতর কুটি এলাকার শিক্ষা বিস্তার ও দলীয় শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সালেহা রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও নির্মান, পশ্চিম বড়–য়ায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় নির্মান, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে মতিয়ার রহমান বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় নির্মান এবং অধুনালুপ্ত ছিটমহল বোয়লমারী বাঁশপচাই এ আদর্শ একাডেমিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও নির্মান করে জেলাবাসীর মাঝে উন্নয়নের সপ্নদ্রষ্ঠা হিসেবে ঠাই করে নিয়েছেন তিনি। লালমনিরহাট জেলায় আওয়ামী লীগের যখন টানাপোড়ন, দলীয় কার্যক্রমে যখন স্থবিরতা, ঠিক তখান তিনি তার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষনতা দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার শক্ত হাতে হাল ধরেছেন দলকে করেছেন সুসংগঠিত। তার নেতৃত্বে ও বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে জেলা আওয়ামীলীগ এখন শক্তিশালী। এলাকার মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে তার পাশে দাড়িয়ে সমাধান করিয়ে তাকে বিপদমুক্ত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন তিনি। কোন এলাকায় অভাব রয়েছে কোন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই কোন এলাকা মিথ্যা মামলায় মানুষ হয়রানী হচ্ছে, কোন পিতা বিবাহযোগ্য কন্যা নিয়ে দুঃশ্চিতায় রয়েছেন, কোন কোন এলাকায় বিধবা ও বৃদ্ধ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। অর্থের অভাবে কে চিকিৎসা করতে পারছেনা। কোন এলাকায় আইন শৃংখলা অবনতি ইত্যাদি ইত্যাদি সকল বিষয়ে তিনি নিজের দক্ষতা ও বিচক্ষনতার মাধ্যমে সমাধান করে দিয়েছেন। মতিয়ার রহমানের নিরলস পরিশ্রম ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সগরম। যার কারণে জনগণ এখন মতিয়ার ভাই এর সমর্থনে এগিয়ে আসছে। দিনবদলের এবং কাঙ্খিত উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে যে ভাবে মতিয়ার রহমান জনগনের দারে দারে ঘরে বেড়াচ্ছেন তা সর্বকালের রেকর্ড। জনগণের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালবাসা সেবামুলক কর্ম কান্ড দেখে বেড়েই চলেছে তার জন সমর্থন। বর্তমান রাজনৈতিক এবং জনসেবামূলক কর্মকান্ডে জনগণ মুগ্ধ। এ ছাড়াও তিনি যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ যাবতীয় ঘটনায় নির্যাতিতদের পক্ষে দিয়েছেন বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা। তাইতো মতিয়ার রহমানই এখন লালমনিরহাট বাসীর ভরসা।