জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর মানে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত গণদোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দোয়া মাহফিল শেষে কয়েক সহস্রাধিক মানুষের মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়। এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি। তিনি নিজে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যুদ্ধ করেছেন। তিনি হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম শুনলে আজকে গাত্রদাহ হয়। কারণ যে কাজটা তাদের করার কথা ছিল সেই কাজটাই জিয়াউর রহমান করেছেন। এটাই ছিল জিয়াউর রহমানের অপরাধ। আল্লাহতালার কাছে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহতালা তাকে যেন বেহেস্ত নসিব করেন।
তিনি আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের তিন বছরের সংক্ষিপ্ত রাষ্ট্র পরিচালনায় তলাবিহীন ঝুড়িকে সমৃদ্ধি করে স্বাবলম্বীতে পরিণত করেছিলেন। সেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে আজকের সরকার। মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। এরমধ্যে সরকার আবারো তেলের দাম বাড়িয়েছে। এই বৃদ্ধির কারণে আবারো সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে। কেনো দেশের এই করুণ দশা? এরা লুট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে। দুর্নীতির মাধ্যমে পুরো দেশকে অকার্যকর করে তুলছে। এক লিটার জ্বালানি তেলের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়েছে সরকার- এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, বুঝতে পারছেন, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের নাভিশ্বাস। আড়াই টাকার তেলের দাম বাড়ানোর মানে হলো, সকল জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, যারা বলেন বিএনপি নাই, বিএনপি থাকবে না। তাদের মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি টিকে আছে এবং থাকবে। বিএনপির হাতেই দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। বিএনপিই এদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। যারা দেশকে বিপদে ফেলে চলে যায় তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর স ালনায় এতে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা।