চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে বলিউড অভিনেত্রী ও সদ্যনির্বাচিত ভারতীয় সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাউতকে চড় (থাপ্পর) মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক নারী ‘সিআইএসএফ’ (সেন্ট্রাল ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স) জওয়ানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এসেছে। কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলায় কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ‘ইন্ডিয়া টু ডে’সহ ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নারী সিআইএসএফ জওয়ানের নাম কুলবিন্দর কউর। অভিনেত্রী-সাংসদ দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, কৃষকদের নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ছিলেন কুলবিন্দর। তারপরই আজকে ঘটনা ঘটেছে।
কঙ্গনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। এরপরই সিআইএসএফ রক্ষীদের সরিয়ে দিতে দাবি জানানো হয় কঙ্গনার টিমের তরফে। যত দ্রুত সম্ভব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করা হয় বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশ হয়েছে ভোটের ফলাফল। মাণ্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে জেতেন কঙ্গনা। তাই পার্লামেন্টে যোগ দিতে দিল্লির পথে রওয়ানা দিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যেই তাকে চড় মারার অভিযোগে হইচই পড়েছে।
বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে ২০২০-২১ সালে যখন বিক্ষোভ তুঙ্গে, তখন পাঞ্জাবের এক নারী কৃষককে ‘বিলকিস বানো’ বলে বসেছিলেন কঙ্গনা। অশীতিপর বিলকিস আসলে ছিলেন শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম মুখ। কৃষক বিক্ষোভের সময়, পাঞ্জাবের এক নারীকে সেই বিলকিস বানো বা ‘শাহিনবাগ দাদি’ সম্বোধন করে এক্স-এ পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
কিন্তু নেটিজেনরা তার ভুলটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে সেই পোস্ট মুছে দেন তিনি- এমনটাও শোনা যায়। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে সেই ঘটনার কথা লোকসভা ভোটের আগে মনে করিয়ে আহ্বায়ক হরিশ চৌহান জানিয়েছিলেন, তারা মাণ্ডি লোকসভার কংগ্রেস প্রার্থীকেই সমর্থন করবেন। হরিশের নাম করে স্পষ্ট একথা জানানো হয়, যেহেতু তিনি বিধানসভায় কৃষক-স্বার্থের কথা তুলেছেন এবং সবসময় সংযুক্ত কৃষক মোর্চার অংশ ছিলেন, তাই তাকেই সমর্থন করা হবে।
শেষে সে সব কঙ্গনার জয়ের পথে কাঁটা হয়নি। ৭৪ হাজার ৭৫৫ ভোটে জিতেছেন কঙ্গনা। ভোটে লড়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেই। এমনকি পার্লামেন্টে যাওয়ার পথের ছবিও দিয়েছিলেন। কিন্তু চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছেই বিপাকে পড়েন তিনি।