ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় হাসপাতালটিতে আসা রোগীর সংখ্যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইউয়ামা কিমিনোরি। এসময় তিনি স্বল্প জনবল ও সক্ষমতায় সুন্দর চিকিৎসা কার্যক্রমের প্রশংসাও করেছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল শনিবার (৮ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাথে জাপান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিএমএ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান বিশ্বের অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা অনেক বেশি এগিয়ে। তবে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন, সেসময় এই হাসপাতালে আসা রোগী দেখে তিনি অবাক হয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার কাছে জানতে চেয়েছেন অল্প সক্ষমতা ও এই জনবল দিয়েও আমরা কীভাবে এতো সুন্দর চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করছি। এসময় তিনি আমাদের চিকিৎসকদেরও প্রশংসা করেন। আমরা তাকে জানিয়েছি, আমাদের অসংখ্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক আছেন, যাদের অনেকেই ঢাকার বাইরে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। আমাদের এই চিকিৎসকরা জাপান সরকারের সহযোগিতা পেলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো। তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- পরিচালনা করছেন। সাসাকা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের স্কলারশিপও দিয়ে থাকেন। আমরা চাই, চিকিৎসাখাতে জাপানের সঙ্গে আমাদের এই সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক। এসময় বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সাথে আমাদের কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। তারা এখনও দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে জড়িত। সবমিলিয়ে জাপানের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশের অসংখ্য চিকিৎসক জাপানে স্কলারশিপে প্রশিক্ষণে যায়। আমরাও বিএসএমএমইউর পক্ষ থেকে জাপানের এসব প্রশিক্ষণ ও স্কলারশিপে জোরালোভাবে অংশগ্রহণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই তাদের সাথে আমাদের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। আমরা আশা করছি, চিকিৎসাসেবা ও প্রশিক্ষণে সবসময় জাপান আমাদের পাশে থাকবে। বিএসএমএমইউ বাংলাদেশে স্মার্ট হেলথ সিস্টেমের জন্য কাজ করছে, আমরা চাই আমাদের এই কর্মযজ্ঞেও জাপান সরকার আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করুক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, জাপান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শেখ আলীমুজ্জামানসহ আরও অনেকে।