ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি-এর ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাদিয়া রাইয়ান আহমেদ এর সভাপতিত্বে ০৯ জুন ২০২৪ ইং তারিখে সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক সাধারণ সভার শুরুতে চেয়ারম্যান মহোদয় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান।
বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেন। বার্ষিক সাধারণ সভায় সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ ২০২৩ সালের জন্য ৩৫% ডিভিডেন্ড (১৭.৫% ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ১৭.৫% স্টক ডিভিডেন্ড প্রতি শেয়ারে) প্রদানের অনুমোদন দেন।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং তারিখ অনুযায়ী ব্যাংকের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী সভায় উপস্থাপন করা হয়। শেয়ারহোল্ডারগণ ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করেন এবং ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন ও নানাবিধ বিষয়ে প্রস্তাবনা পেশ করেন।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯৩,৮৮৩.১ মিলিয়ন টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ৫৫৫,৪৭৩.৬ মিলিয়ন টাকা যার প্রবৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮,৪০৯.৫ মিলিয়ন টাকা বা ৬.৯%। ২০২৩ সালে ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত ঋণের পরিমান ৪১২,০৭৩.০ মিলিয়ন টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ৩৬৪,০০০.৮ মিলিয়ন টাকা যার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ১৩.২%। ২০২৩ সালে ব্যাংকের ডিপোজিট ৩৪,৪৫৮.৮ মিলিয়ন টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৭২,৫৯০.১ মিলিয়ন টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ৪৩৮,১৩১.৩ মিলিয়ন টাকা যার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৯.১%।
ব্যাংক ২০২৩ সালে ট্যাক্স পূর্ববর্তী নীট মুনাফা অর্জন করে ১১,৪৫০.১ মিলিয়ন টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ৮,৮৬৬.৬ মিলিয়ন টাকা এবং ট্যাক্স পরবর্তী নীট মুনাফা অর্জন করে ৮,০১৭.৪ মিলিয়ন টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ৫,৬৬১.৭ মিলিয়ন টাকা। চলতি বছরে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০.৭২ টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ৭.৫৭ টাকা (restated)| Basel III অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষে ব্যাংকের মূলধন ও ঝুঁকিভর সম্পদের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৬.১৬% যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১২.৫০% থাকা বাঞ্ছনীয়।
সভা ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে জনাব আবেদুর রশিদ খান এর পুনঃনিয়োগ অনুমোদন করে।
সভা ২০২৪ সালের জন্য কোম্পানীর বহিঃনিরীক্ষক হিসেবে এ. কাসেম এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স নিরীক্ষক হিসেবে হোদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস -এর পুনঃনিয়োগ অনুমোদন করে।