শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

সিলেট: বৃষ্টিতে বেড়েছে নদ-নদীর পানি, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪

তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে সিলেটে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। কোথাও কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে বন্যার পানি ধীরে নামার কারণে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। সিলেট জেলা প্রশাসনের গতকাল সোমবার সকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ (সোমবার) পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। তাছাড়া জেলার ২৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার ২০৯ জন মানুষ অবস্থান করছেন।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়,  গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরআগে রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃষ্টিপাত বাড়ায় সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা-কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি আরও বেড়েছে। তবে কয়েকটি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাউবো জানায়, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার সকাল থেকে একই অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে। বিকেল ৩টায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। গতকাল এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপরে।
সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে থাকলে সকাল ৬টায় ছিল ১০ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় সেটি আরও বেড়ে ১০ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। বিকেল ৩টায় তা আরও বেড়ে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল ছিল বিপৎসীমার বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে।
কুশিয়ারার পানির ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে সকাল থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে। সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। বিকেল ৩টায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। গতকাল এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপরে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে জুড়ি ও মনু নদী কুশিয়ারার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এ নদীর পানি নামার গতি খুবই কম। তাছাড়া এখন ভাটির দিকে প্রায় সব এলাকা প্লাবিত। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে ও প্রতিদিন রোদ হলে বন্যার পানি কমে যাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com