রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকাল সোমবার (১ জুলাই) সকালে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ম্যাডাম এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যে অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো, এখন তার চাইতে ভালো আছেন। এখন উনার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব নয়। এখানে তার রোগগুলো যাতে বেড়ে না যায়, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসা দিতে হলে তাকে বিদেশে নিতে হবে। যেখানে একসঙ্গে অনেকগুলো রোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। এর আগে ২১ জনু মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক। খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।