শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন

কোটা বাতিলের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

শামীম আহমেদ বরিশালশামীম আহমেদ বরিশাল
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে চতুর্থদিনের মতো ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা সহ দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়কে অগ্মি সংযোগ ও অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বৈরী আবহাওয়ার মধে শেক্ষার্থীরা বৃষ্টির মধ্যে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথমে সকলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৃষ্টি কমে আসলে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে ক্যাম্পাস থেকে বেড় হয়ে বরিশাল- কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে এসময় শিক্ষার্থীরা নগরের রুপাতলী টোলঘড় এলাকায় অবস্থান নেয়। অপরদল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। এসময় শিক্ষার্থীরা সড়কে টায়ার, বই ও বিভিন্ন কাঠ, বাঁশ বিভিন্ন তক্তা এনে তাতে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসূচির গতি বাড়িয়ে দেয়। এদিকে এই কর্মসূচির কারণে নগরীর রুপাতলী থেকে শুরু করে অপরপ্রান্তের নলচিঠির জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত অসংখ্য যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনে থাকা যাত্রীরা আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তবে অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা এ্যামবুলেন্স ও রোগীবহন কারী অটো ও মাহেন্দা গাড়িগুলো মানবিক কারনে ছেড়ে য়ে। এছাড় মটর বাইক সহ অন্যসকল যানবাহন চণাচল বন্ধ করে করে রাখে। এসময় শিক্ষার্খীরা বলেন ঘোষিত চার দফা দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা কোটা–পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এদিকে আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ চালাকালে শত শত সাধারন মানুষ প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার ২ ধারে থেমে থাকা বিভিন্ন যানবাহনের জ্যামের মধ্যেপায়ে বরিশাল শহরে প্রবেশ করছে। এসময় বিভেন্ন দূর্ভোগে পড়া যাত্রীরা বলেন ‘আমরা শান্তি চাই। (শিক্ষার্থীদের) আন্দোলনও চলুক, সেই সাথে আমাদের চলাচলের পথও করে দিক। অনেক ব্যস্ততা নিয়ে বরিশালে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি। ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহনগুলো আটকে আছে। খুব কষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি কাজের ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না। তাঁরা আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা বাদে সব বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবি জানান। ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক অবস্থা হতে পারে না। মেধাবীরা পরিশ্রম করে চাকরি পাবেন, কোটায় নয়। কোটা প্রথা কখনোই জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে না। এটা দেশের মেধাবীদের সঙ্গে একধরনের উপহাস। আন্দোলনরত ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সেঁজুতি বলেন, ‘আমরা কোটা চাই না। অবিলম্বে কোটা বাতিল চাই। আশা করি, যদি কোটা প্রদ্ধতি বাতিল না হয়, তাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com