পেঁয়াজুসহ বিভিন্ন শাক-সবজীর বড়া তৈরীতে ব্যবহৃত হয় খেসারীর ডাল। রান্না করেও খাওয়া যায় খেসারীর ডাল। এছাড়া গো-খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ডাল। একটা সময় টাঙ্গাইল জেলায় প্রচুর পরিমাণে খেসারী কালাই চাষ হতো। কিন্তু বিভিন্ন কারনে জেলায় খেসারী কালাই চাষ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেই চাষ আবারো ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ। প্রণোদনা কর্মসূচিতে বিনামূল্যে বীজ-সারসহ অন্যান্য উপকরণ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে খেসারী কালাই চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।
জানা যায়, দেশে খেসারী ডালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবছর বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ খেসারীর ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এতে খরচ হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে দেশেই প্রচুর পরিমাণে খেসারী কালাইয়ের চাষ করার। এ লক্ষ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর জেগে ওঠা চরে খেসারী কালাইয়ের চাষ করা হচ্ছে। সদর উপজেলার কৃষকদের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামুল্যে দেয়া হয় বীজ-সারসহ অন্যান্য উপকরণ। চরাঞ্চলের বালি জমিতে খেসারী কালাই চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। নতুন করে আবারো খেসারী কালাই চাষে ফিরতে পেরে খুশী কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, খেসারী কালাই চাষে খরচ খুবই কম। দিতে হয় না হাল-চাষ। পরিশ্রমও খুব কম। প্রতিমণ খেসারী ডাল ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আগামী তারা আরো বেশী পরিমাণ জমিতে খেসারী কালাই চাষ করার কথা ভাবছেন। খেসারী কালাই চাষের প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের ৪০ একর জমিতে খেসারী কালাই চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ হতে ৪০জন কৃষককে দেয়া হয়েছে প্রণোদনা। আগামীতে খেসারী কালাই চাষ আরও সম্প্রসারণের চিন্তা করছে কৃষি বিভাগ।