বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘প্রতিষ্ঠাকাল থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের মানুষ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরো বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট।’ গতকাল রোববার কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও মুহাম্মদ শাহজাহান।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা সঙ্কটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোনো মর্যাদা নেই বললেই চলে।’
তিনি বলেছেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সাধারণ জনগণ আজ দিশেহারা। দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন শ্বাসরোদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীন সরকারই দায়ী। তাই সকল সঙ্কট, সীমাবদ্ধতা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশের মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্যে জামায়াতের রুকনদেরকে অগ্রণী ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘ইসলামের সোনালী অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহ ভীরু ও জান্নাত প্রত্যাশী আসহাবে রাসূলের ভূমিকা বিশ্ববাসীর সামনে সমুজ্জল। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম ও ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদেরকে আসহাবে রাসূল সা:-এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে ইসলাম ও সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প নেই। মানবরচিত মতাদর্শের বিপরীতে ইসলামী আদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব, সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নিজেদেরকে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর কাজে অন্য সকলের চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি