শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৪ অপরাহ্ন

হলুদ রংয়ের দেশি খেজুরে শালিখায় গাছ ভরে গেছে

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

মানবজাতির কল্যাণে প্রকৃতির সৃষ্টি। অসংখ্য গাছপালার মধ্যে খেজুর গাছ একটি অতি প্রয়োজনীয় পরিচিত পাম জাতীয় উদ্ভিদ। মানব দেহের গুণাগুণ সমৃদ্ধ জ্যৈষ্ঠ বা মধু মাসে নিজেকে জানান দিতে সেজেছে নতুন রূপে কাঁদি ভরা পাকা হলুদ খেজুরের গাছ। উপজেলার মেঠোপথ, বাড়ির পথ ও ক্ষেত খামারের আল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশি প্রজাতির খেজুরগাছ। এ গাছ প্রধানত মরুদেশীয় উদ্ভিদ। এদেশে এর একটি মাত্র প্রজাতি জন্মে। সাধারণত কেউ এটি রোপণ করে না। মানুষ ও পশু পাখিরা খাওয়ার পর মাটিতে বীজ ফেললে সেটা থেকে আপনা আপনি এ গাছটি জন্মে। দেশী খেজুর এ দেশের একটি অন্যতম প্রাচীন ফল। এ দেশেই উৎপত্তি, এ দেশেই বিস্তার। সাধারণত গাছেই কাঁদিতে খেজুরের ফল পেকে ঝরে পড়ে, খুব একটা সংগ্রহ করা হয় না। সব ফল একসাথে পাকেও না। কয়েক দিন ধরে পাকতে থাকে, ফল পাকার সময় গ্রীষ্মকাল। পাকা ফল পাখিরা খেয়ে বীজ মাটিতে ফেলে এছাড়া ফল মাটিতে ঝরে পড়ে সেখানেই প্রাকৃতিকভাবে চারা তৈরি হয়। ফলের রঙ সবুজ থেকে হলুদ হলে কাঁদির ছড়া বা শিষসহ কাঁদি সংগ্রহ করা হয়। ঘরে রেখে দিলে ২-৩ দিনের মধ্যে সেসব পরিপক্ব ফল পাকতে শুরু করে। পাকলে ফলের বীজের উপরের অংশ নরম ও লালচে মেরুণ রঙ ধারণ করে। একটি গাছ থেকে ১০-২৫ কেজি ফল পাওয়া যায়। এ হলুদ খেজুর বেশি সুস্বাদু না হলেও এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে আছে মানবদেহের উপকারী উপাদান পটাশিয়ম ও খনিজ লবণ। হৃদরোগের জন্য উপকারী, তাছাড়া মানবদেহে রক্ত তৈরিতে সহায়ক ও হজমবর্ধক এই খেজুর। এটি পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়। ঋতু পরিবর্তনকালীন রোগ প্রতিরোধে এ ফল দারুণ কার্যকর।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com