কোটা সংস্কার আন্দোলন
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সরকারদলীয় নেতাকর্মী এবং সরকারি বাহিনীর হামলায় শিক্ষার্থী-জনতার নিহতের প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাবির ভিসি চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতা হত্যা, নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে র্যালি ও সংহতি সমাবেশ’ করেছে ঢাবি বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ সময় তারা এ সব দাবি জানান।
মিছিলে তারা ‘এক দফা এক দাবি, স্বৈরাচার কবে যাবি, ‘আমার শিশু মরলো কেন, স্বৈরাচার জবাব চাই’, ‘রক্তের দাগ মুছে যাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে যত আন্দোলন হয়েছে বা স্বাধীনতার পূর্বে যে আন্দোলন হয়েছে একসঙ্গে এতগুলো প্রাণ ঝরে গেছে তার নজীর বাংলাদেশে নেই। লজ্জায় আর ঘৃণায় কোনো কিছুই বলতে পারি না। এই আন্দোলনের প্রতি কটাক্ষ, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন এতটুকু পর্যন্ত গড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের কাছে আমরা হত্যার বিচার চাই না। কারণ, যারা হত্যা করেছে, তাদের কাছে কিসের বিচার চাইব। এই সরকারের কাছে বিচার চাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এত শিক্ষার্থী, সাংবাদিক হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। সবকিছুর দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, সরকার এই লাশের ওপর দিয়েও থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু এই সুযোগ নেই। এটা মোটেই বিএনপি-জামাতের আন্দোলন না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছি। তাজা প্রাণ রাষ্ট্রের সম্পদ। কয়টা, বাড়ি, গাড়ি রাষ্ট্রের সম্পদ নয়৷ হেলিকপ্টার থেকে বিএনপি-জামাত গুলি করে নাই। কারা এই গুলি চালিয়েছে, তা জনগণ জানে। আমরা চাই এই স্বৈরাচারের পদত্যাগ।
সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম সরকার বক্তব্য দেন। অধ্যাপক মহিউদ্দীন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন।