শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

অনন্য ব্যক্তিত্ব জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪

গত ১ আগস্ট ছিল প্রবাদপ্রতিম শিশুচিকিৎসক, শিশুবন্ধু, সমাজহিতৈষী, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসাক্ষেত্রে দক্ষ প্রশাসক, চিকিৎসা-শিল্পউদ্যোক্তা, সদালাপী, সদা সংস্কারমনস্ক এবং সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানের (১৯২৮-২০১৬) ৯৭তম জন্মবার্ষিকী।

শিশুরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। মানুষের সৃজনশীল সম্ভাবনার সত্তা তাকে পুষ্টি দিয়ে মননশীল করে সুচিকিৎসা দিয়ে সুস্থভাবে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে- এ সুযোগ লাভ তার অধিকার। ডা. এম আর খান শিশুচিকিৎসার ওপর বিদেশে বড় ডিগ্রি অর্জন করে সেখানে উঁচু মাপের চাকরির সুযোগ ও সুবিধা পরিত্যাগ করে চলে এসেছিলেন নিজ দেশে। দেশে শিশুচিকিৎসা ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় প্রতিষ্ঠায় অবতীর্ণ হয়েছেন পথিকৃতের ভূমিকায়। কর্মজীবনে ডা. এম আর খান দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার কেন্ট এবং এডিনবার্গ গ্র“প হাসপাতালে যথাক্রমে সহকারী রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর দেশে ফিরে ১৯৬৩ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।
১৯৬৪ সালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (শিশুস্বাস্থ্য) পদে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে যোগদান করেন এবং এক বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ১৯৭০ সালে তিনি অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে তিনি ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ও ১৯৭৩ সালে এই ইনস্টিটিউটের যুগ্ম-পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
১৯৭৮ সালের নভেম্বরে ডা. খান ঢাকা শিশু হাসপাতালে অধ্যাপক ও পরিচালকের পদে যোগদান করেন। একই বছর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে পুনরায় তিনি বিএসএমএমইউর শিশু বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে অধ্যাপক এম আর খান তার সুদীর্ঘ চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিলেও তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন সময়ে পেশাভিত্তিক কর্মকা- ও সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অধ্যাপক এম আর খান নিজেকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বধি বিএসএমএমইউর ভিজিটিং প্রফেসর, আইসিডিডিআর’বির সিনিয়র ভিজিটিং প্রফেসর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ এবং বারডেমের অনারারি উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে চলেন। সময়সচেতন অধ্যাপক এম আর খান তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে ব্যয় করেছেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে। বিএসএমএমইউয়ে পেডিয়াট্রিক শিক্ষায় পোস্টগ্রাজুয়েট ডিগ্রি চালুর ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অন্যদিকে ১৯৭৮ সালে ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও তার ছিল অনন্য ভূমিকা। এ হাসপাতালে তিনি নতুন নতুন ইউনিট খোলেন যেমন- আউটডোর, প্যাথোলজি, রেডিওলজি ডিপার্টমেন্ট, পেয়িং ইউনিট, ইউনেটোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইউনিট ইত্যাদি স্থাপনসহ বেডের সংখ্যা ১৫০ থেকে ২১৫-এ উন্নীত করেন। তিনি বিএসএমএমইউয়ে পেডিয়াট্রিক পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্স চালু করেন।
১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সের কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের কার্যবিধায়ক কাউন্সিলের সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক এম আর খান আহছানউল্লাহ ক্যান্সার হাসপাতালের অন্যতম উপদেষ্টা সদস্য এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রবীণতম সদস্য। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের নতুন পেডিয়াট্রিকস ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে উপযোগী এফসিপিসি, ডিসিএইচ এবং এমসিপিএস নতুন পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্স প্রবর্তন করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা, প্রশাসন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডা. খানের অবদান অনস্বীকার্য।
সদাশয় সরকার তার এই মহৎ অবদানের যথাযোগ্য স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৫ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক পদবিতে ভূষিত করেছে এবং তার পরিকল্পনায় ও প্রযতেœ শিশুস্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দিয়েছে সক্রিয় ও সার্বিক সহযোগিতা। তার মহান ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার কারণেই এই দেশে শিশুচিকিৎসা ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা সম্ভব হয়েছে। তিনি শেরেবাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ স্বর্ণপদক (১৯৯২); কবি কাজী নজরুল ইসলাম জাতীয় স্বর্ণপদক (১৯৯৩); কবি সরোজিনী নাইডু স্মৃতি পরিষদ স্বর্ণপদক (১৯৯৭); খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ স্বর্ণপদক (১৯৯৮); বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা স্বর্ণপদক (১৯৯৯); ইবনে সিনা স্বর্ণপদক (১৯৯৯); নবাব সলিমুল্লাহ পুরস্কার (২০০৬), একুশে পদক (২০০৯) এবং স্বাধীনতা পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হন।
অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন-আমেরিকায় যান। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করে আর দেশে ফেরেন না। ওখানেই স্থায়ী হয়ে যান। উন্নত দেশে গিয়ে ভুলে যান পেছনে ফেলে যাওয়া এই জন্মভূমির জনগোষ্ঠীর কথা। কিন্তু ভুলতে পারেননি ডা. এম আর খান। নিজ জেলা সাতক্ষীরার প্রতি তার অদম্য আকর্ষণ। কখনো কোনো প্রসঙ্গে তার জন্মস্থান সাতক্ষীরার কথা উঠলে সুযোগ মতো একটি কবিতার ক’টি চরণ দরদ দিয়ে প্রায়ই তিনি শোনান সবাইকে-
‘দেশের সীমানা, নদীর ঠিকানা
যেথায় গিয়েছে হারিয়ে,
সেথা সাতক্ষীরা, রূপময় ঘেরা
বনানীর কোলে দাঁড়িয়ে।’
১৯৫৬ সালে ডা. এম আর খান সস্ত্রীক লন্ডনে যান। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলছিলেন, পড়াশোনা শেষে চাকরির অফার পেয়েছিলেন লন্ডনের হাসপাতালেই। কিন্তু নাড়ির টানে তিনি চলে আসেন দেশে। এমআরসিপি পাস করার পর সিক চিলড্রেন হাসপাতালের প্রধান ডা. ডিকশন ডাকলেন এম আর খানকে। তিনি ওখানে ভালো সুযোগ দিতে চাইলেন। বললেন, তোমার মেয়ে ম্যান্ডি এখানে পড়ে। তোমার স্ত্রীও এই সমাজে সম্মানিতা। তুমিও ভালো ইনকাম করো। কেন দেশে ফিরতে চাও? তিনি বলেছিলেন, আমার দেশ খুব গরিব। এই গরিবদের চিকিৎসা করার কেউ নেই। আমরা এদেশ পড়ে থাকলে তাদের দেখবে কে? সেই মুহূর্তে তার মনে পড়ে গিয়েছিল জেনারেল মন্টেগোমারির কথা। তিনি ক্যাডেটদের বলেছিলেন, ‘Don’t forget ¸ God. ¸ Country and ¸ Queen’ এই তিনটি কখনো ভুলো না। হ্যাঁ, এ ধরনের দেশাত্মবোধ এবং জাতীয়তাবোধ তাকে প্রচ-ভাবে নাড়া দিয়েছিল বলেই তিনি সব লোভ-লালসা জলাঞ্জলি দিতে পেরেছিলেন সেদিন। ডা. ডিকশন বললেন, দেশে তোমাকে খুব স্ট্রাগল করতে হবে। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ধর্মপ্রাণ তরুণ ডা. এম আর খান আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে উত্তরে বলেছিলেন- God will help us.
অধ্যাপক এম আর খান একজন লেখক এবং গবেষকও বটে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৩৭টি গবেষণাধর্মী রচনা প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া তিনি শিশুরোগ চিকিৎসাসংক্রান্ত বই লিখেছেন সাতটি। যা দেশে ও বিদেশে বহুল প্রশংসিত। বইগুলো হচ্ছে : ‘Essence of Paediatrics’ (প্রকাশকাল : জানুয়ারি ১৯৮৯) ‘Pocket Pediatric Prescriber’ (প্রকাশকাল : জানুয়ারি ১৯৮২), ‘Essence of Endocrinology’, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা’, ‘মা ও শিশু’ (প্রকাশকাল : ২১ ফেব্র“য়ারি ১৯৮৬), ‘আপনার শিশুর জন্য জেনে নিন’ (প্রকাশকাল : ২১ ফেব্র“য়ারি ১৯৭৬), ‘শিশুকে সুস্থ রাখুন’ এবং ‘ড্রাগ থেরাপি ইন চিলড্রেন (প্রকাশকাল জুন ২০০৬) সহ আরো একাধিক গ্রন্থের তিনি যুগ্ম প্রণেতা।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান মনে করতেন, রোগীও একজন মানুষ। আর এ রোগীটি সামাজে আমাদেরই কারো না কারো আত্মীয়স্বজন, এমনকি আপনজন। রোগী যখন ডাক্তারের কাছে আসেন; তখন সাহায্য প্রার্থী, কখনো কখনো অসহায় বটে। আর রোগীটি যদি শিশু হয় তা হলে তো কথাই নেই। ডাক্তারের কর্তব্য হবে রোগীর কষ্ট গভীর মনোযোগের সাথে ধৈর্যসহকারে শোনা, রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। রোগীকে সুস্থ করে তুলতে সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা যেমন প্রয়োজন; তেমনি রোগীর অভিভাবকদের প্রতি ডাক্তারের সহমর্মিতা প্রদর্শন ও আশ্বস্ত করাও প্রয়োজন। সব রোগীই তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে এমনটিও ঠিক নয়। কারো কারো সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে। মহান আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে তিনি বলতেন , হায়াত ও মউতের মালিক যেমন আল্লাহ তায়ালা; তেমনি রোগ থেকে মুক্তিদাতাও তিনি। তবে রোগীর আপনজনরা এমন যেন বলতে না পারেন যে, ডাক্তার আন্তরিক ছিলেন না, ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুদের সেবার মানসে তিনি ১৯৮৩ সালে শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঢাকার মিরপুরে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ ও শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং যশোরে শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন ছাড়াও স্থানীয় জনগণ এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনি তার পেনশনের টাকা, পৈতৃক জমিজমা এবং স্ত্রীর সঞ্চয়ের অর্থে ১৯৮৫ সালে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ১. ডা: এম আর খান অ্যান্ড আনোয়ারা ট্রাস্ট; ২. উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজ; ৩. নিবেদিতা চিলড্র্রেন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টার; ৪. সেন্ট্রাল হাসপাতাল প্রা: লি: ইত্যাদি।
সাতক্ষীরায় নিজের গ্রাম রসূলপুরকে আদর্শ গ্রাম তথা দারিদ্র্যমুক্ত গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার স্বপ্ন উদ্যোগ দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূয়োদর্শন হিসেবে বিবেচনার অবকাশ রয়েছে। ‘নিজের গ্রামকে আগে দারিদ্র্যমুক্ত করি’ এই প্রত্যাশা ও প্রত্যয়ে দীপ্ত বাংলাদেশের সব সচেতন মানুষ তার মতো কর্মবীরের অনুসরণে একযোগে কাজ করতে পারলে, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সুদূর পরাহত থাকে না আর। ‘রসূলপুর আদর্শ গ্রাম’ এই মডেলে তার প্রত্যয় ও প্রত্যাশা ছিল গড়ে উঠুক বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রাম ও জনপদ।
পল্লী উন্নয়ন ভাবনা ও কর্মযজ্ঞে রসূলপুর ছিল পল্লী উন্নয়নে সমৃদ্ধ চেতনার নাম। সুদূর পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামাতে বোধিছড়া গ্রামে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ কোয়ান্টমতেও তিনি রেখেছেন শিশুবিকাশে তার সৃজনশীল হাতের স্পর্শ। ‘দুর্বল মানুষ যদি পার হয় জীবনের অথৈ নদী’ তাতে নিজের কোনো ক্ষতি নেই; বরং বিপদমুক্ত মানুষের কলরবে সাফল্যে ভরবে দেশ ও জাতি। কেন তাই এ পথে পিছিয়ে যাব? রেখেছিলেন এ প্রশ্ন নিজের কাছে, দেশের কাছে।
লেখক : সচিব, এনবিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com