সারাক্ষণ স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছেন। বাজারে নতুন মডেল আসলে অনেকেই নতুন ফোন কেনেন। আবার অনেকদিন একই ফোন ব্যবহারের ফলে নানান সমস্যা দেখা দেয়, তখন পুরোনো ফোন বদলে নতুন ফোন কেনেন। তবে আপনি যে কারণে আর যে ব্র্যান্ডের ফোনই কিনুন না কেন, আপনাকে বুঝেশুনে ফোন কিনতে হবে। নতুন ফোন কেনার আগে কয়েকটি বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, নয়তো ঠকে যেতে পারেন-
অপারেটিং সিস্টেম: প্রথমে ফোনের সফটওয়্যার পছন্দ করুন, অর্থাৎ ফোন আইওএস নাকি অ্যান্ড্রয়েড নেবেন। নিজেদের বাজেট মাথায় রেখে অ্যান্ড্রয়েডের দিকে গেলে, সেখানেও দেখতে হবে কাস্টম ওএস পছন্দ হচ্ছে কি না। কারণ এক্ষেত্রে সবার কাছেই স্টক অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্পও রয়েছে।
কর্মক্ষমতা: একটি নতুন ফোন কেনার সময়, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে একটি ভালো প্রসেসর সহ একটি ফোন ক্রয় করা। অ্যাপল ফোন শুধু শক্তিশালী প্রসেসরের সঙ্গে আসে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে স্ন্যাপড্রাগন বা মিডিয়াটেকের মতো ভালো প্রসেসরের দিকে যেতে হবে। এছাড়াও এটিও দেখতে হবে যে র্যাম স্টোরেজটিও যেন উচ্চ ক্ষমতার হয়।
ডিসপ্লে: ফোনের কার্যকারিতার একটি বড় অংশ এর ডিসপ্লের উপর নির্ভর করে। এমন পরিস্থিতিতে, নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী এটি পরীক্ষা করা উচিত। তারপরে ফুল এইচডি, কিউএইচডি বা ৪কে-এর মতো উচ্চতর রেজোলিউশন পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়াও দেখতে হবে এর প্যানেল কেমন। এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ওএলইডি বা অ্যামোলেড, এলসিডি-এর থেকে ভালো রং অফার করে।
ক্যামেরার গুণমান: সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সবাই প্রতি মুহূর্তে ছবি ক্লিক করতে এবং পোস্ট করতে পছন্দ করে। এমন পরিস্থিতিতে ক্যামেরাও ফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই কেউ যখনই একটি নতুন ফোন কিনবে, অবশ্যই ক্যামেরার মান পরীক্ষা করা উচিত। শুধু মেগাপিক্সেলের দিকে নজর দিলে হবে না। এর অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন, নাইট মোড, অ্যাপারচার এবং সেন্সরের আকারের মতো জিনিসগুলিও দেখতে হবে।
ব্যাটারি: ফোন চালানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো ফোনের জন্য আজকাল কমপক্ষে ৩০০০এমএএইচ বা তার বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ব্যাটারিই ভালো বলে বিবেচিত হয়।