রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন

বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি ও দুই উপদেষ্টার শপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং অন্তর্র্বতী সরকারের দুই উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন ও সুপ্রদীপ চাকমা শপথ নিয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটের দিকে শপথ নেন দুই উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা। গত শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হলেন। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। এর আগে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর তাঁরা পদত্যাগপত্র দেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেদিন রাতে বঙ্গভবনে ১৭ সদস্যের অন্তর্র্বতী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন।
শপথের পর দপ্তর পেলেন দুই উপদেষ্টা: নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারে আরও দুই উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। শপথের পর তাঁদের দপ্তর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় পেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রদীপ চাকমা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গত বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ১৭। এর মধ্যে তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় ওই দিন শপথ নিতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা গতকাল বোরবার শপথ নিয়েছেন। ফারুকী আজম এখনো শপথ নেননি।
প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রাখা হয়েছিল ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব। এর মধ্যে এখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় দুই উপদেষ্টার হাতে ছেড়ে দেওয়া হলো। বাকি ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাতে রাখা হয়েছে। এগুলো হলো: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খানকে শিল্প, হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, মো. তৌহিদ হোসেনকে পররাষ্ট্র, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, শারমিন এস মুরশিদকে সমাজকল্যাণ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র, আ ফ ম খালিদ হোসেনকে ধর্ম, ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নুরজাহান বেগমকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com