রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে নেমেছেন সড়ক আন্দোলনের পরিচিত মুখ অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনিও। কখনও হ্যান্ড মাইকে চলমান যানের চালকদের উদ্দেশে দিচ্ছেন সচেতনতার বার্তা। গত কয়েকদিন ধরেই তাকে দেখা যাচ্ছে পথে। গত ৮ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শাহবাগ, দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাকরাইল মোড়ে সড়কে চলমান যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করে নিরাপদ সড়ক চাই-এর কর্মীরা। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কিন্তু কেউ যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে, সে ক্ষেত্রে দেশে শাস্তি আসবে না, জবাবদিহি নিশ্চিত হবে না। শিক্ষার্থীদের দেখলাম, সড়ক সামলাচ্ছে। কেউ এক মুহূর্তের জন্য বসে নেই। দেশের মানুষের নিরাপত্তার ব্রত নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। তারা তাদের কাজটাকে ভালোবেসেছে।’
প্রত্যেক নাগরিকের তার নিজের কাজকে ভালোবাসা উচিত বলে মনে করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে। তবেই আউটপুট ভালো আসবে। এখানে আরেকটা বিষয় খেয়াল করলাম, গাড়ির চালকেরাও শিক্ষার্থীদের কথা মেনে গাড়ি চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই তারা আইন মেনে চলছে। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে ন্যায় ও নিষ্ঠাবান হওয়ার তাগিদ ভেতর থেকেই আসে। কিন্তু ঘুষ, দুর্নীতিপ্রবণ হলে সেটা আর আসে না।’
ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, সড়কে শৃঙ্খলা একদিন বা দুদিনের বিষয় নয়, একে চর্চার বিষয়ে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সড়ককে নিরাপদ করে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের এই প্রয়াস অন্তত দুই থেকে পাঁচ বছর অব্যাহত রাখতে হবে। তবেই সড়কের সঠিক নিয়মগুলো মানুষের মাথায় গেঁথে যাবে এবং রাস্তায় বের হলেই তারা নিয়ম মেনে চলবেন।’