সারাদেশের ন্যায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ থেকে পলায়নের খবরে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ও উত্তেজিত জনতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস,উপজেলা পরিষদ অফিস, নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী বাসভবন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারী বাসভবন সহ সদরপুর থানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন মালামাল লুটকরে নিয়ে যায়। নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস ও বাসভবন থেকে চেয়ার টেবিল,সোফা,টেলিভিশন, লাইট, ফ্যান সহ বিভিন্ন আসবাব পত্র নিয়ে যায় একদল উত্তেজিত লোক। সদরপুর থানায় হামলা করে অস্ত্রাগারে রক্ষিত অস্ত্রশস্ত্র লুট করা হয়, এছাড়া থানার আসবাব পত্র, লাইট, ফ্যান, সি,সি ক্যামেরা, পুলিশের পোশাক,ওয়ারলেস সেট সহ থানায় রক্ষিত বিভিন্ন ধরনের প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল লুট করা হয়। সেই সাথে থানার অফিসার ইনচার্জের বাসভবনেও ব্যাপক লুট পাট করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ করা হয় পুলিশের প্রয়োজনীয় সরকারী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। ইতিমধ্যে ছাত্রদের চেস্টায় কিছু মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে, সেই সাথে কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিভিন্ন ছাত্ররা। ছাত্ররা জানান গঅত ৮ আগস্ট পুলিশ থানায় আসলেও এখনো দাপ্তরিক কার্য্যক্রম শুরু করেনি। এখনো উদ্ধার হয়নি লুন্ঠিত সব মালামাল ও অস্ত্র। এদিকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমদের দাপ্তরিক কার্য্যক্রম শুরু হলে তদন্ত করে বলা যাবে থানা থেকে কয়টি অস্ত্র খোয়া গেছে বা লুট হয়েছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ছাত্র আশিক জানান লুটপাট ও ভাংচুরে কোনভাবেই সাধারন ছাত্ররা জড়িত নয় বরং সাধারন ছাত্ররা এখনো চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে সদরপুর থানা ও ইউ,এন,ও অফিস থেকে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে। আশিক আরো বলেন আমরা ছাত্ররা এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ টা মোটর সাইকেল এবং কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করে সদরপুর থানায় আনসার সদস্যদের কাছে জমা দিয়েছি আগামীতেও এসব মালামাল উদ্ধারে সধারন ছাত্রদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।