বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ডাকসুর ভিপি আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ আজ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, এই যে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে শহীদ রিয়াজের রক্তের বিনিময়ে। এই শহীদের রক্ত, আবু সাঈদের রক্ত কোন ভাবে বৃথা যাবে না। এই রিয়াজ, সাঈদ বুক পেতে দিয়েছে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করার জন্য। আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে কোন দুষ্কৃৃতকারী, কোন দুর্বৃত্ত আয়নের জন্য যেন এই স্বাধীনতা কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নরশাৎ না হয়। শহীদ রিয়াজের ই”েছ ছিল জনগণের ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশেকে নতুন করে স্বাধীন করা এবং যারা অবহেলিত নিপীড়িত, নিস্পিত, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা আজকে শহীদ রিয়াজের আত্মার মাগফেরাতে কামনার মাধ্যমে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশব্যাপী শহীদ হয়েছেন তাদেরও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি আরো বলেন রিয়াজের আত্মত্যাগের বিনিময় বাংলার ঘরে ঘরে আজ নতুন করে রিয়াজের জন্ম নিয়েছেন। তার স্মৃতি ধরে রাখে তিনি কেরানীগঞ্জের গাটাচর চত্বর শহীদ রিয়াজ হোসেন চত্বর হবে বলে ঘোষণা দেন। এই চত্বরে মাধ্যমে শহীদ রিয়াজ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন বলে জানান। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিয়াজের কবর জিয়ারত করে কেরানীগঞ্জের তারানগর ছোট বাওয়াল কবরস্থান ঈদগাহ ময়দানে তিনি এসব কথা বলেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার এরফান ইবনে অমি, মডেল থানা বিএনপি’র সভাপতি মনির হোসেন মিনু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাসমত উল্লাহ নবী, বিএনপি নেতা মো.নাজিম উদ্দিন, মনিরুল হক, ইসমাঈল, হীরা, যুবদলের নেতা হাজী আসাদুজ্জামান রিপন, মৎস্যজীবী দলের নেতা হাজী মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ওয়ালীউল্লাহ সেলিম, মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ প্রমূখ। এরপর আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান শহীদ রিয়াজের বাসায় উপস্থিত হয়ে শোকশান্ত পরিবারের সাথে কৌশল বিনিময় করে তাদের পরিবারের পাশে থাকার কথা বলেন।