শপথ নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। ২০২২ সালে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে পালিয়ে যাওয়ার পর এটাই সেখানে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, পরিচ্ছন্ন রাজনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক দুর্দশায় ডুবে থাকা দেশটিকে পুনরায় স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিশানায়েকে। ভারতের কোল ঘেঁষা এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে এবারই প্রথম কোনো মার্কসবাদী নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ৫৫ বছর বয়সী অনূঢ়া ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের নেতা হিসেবে আরও ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত করেন। ২০২২ সালে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের পলায়নের পর এটাই ছিল দেশটিতে প্রথম নির্বাচন। অনুড়া পেয়েছেন গণনাকৃত ভোটের ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় ভোট গণনায় দুইজনের ভোট কিছুটা বেড়েছে। অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে মার্কসবাদী ও চীনপন্থি। অন্যদিকে সাজিথ প্রেমাদাসা ভারতপন্থি। তার প্রতি ভারতের সমর্থন আছে বলে গত সপ্তাহে দ্য ডিপ্লোম্যাটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শ্রীলঙ্কায় দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ভারত এ অঞ্চলে আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়তে পারে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক চিরবৈরী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক মসৃণ নয়। মালদ্বীপে চীনপন্থি মোহাম্মদ মুইজু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এখন শ্রীলঙ্কায়ও চীনপন্থি দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ফলে এতে ভারতের কপালে আরও একটি চিন্তার রেখা যোগ হবে।