ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ওসি, সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়াগেছে। শনিবার নগরকান্দার মিরাকান্দা ও সলিথা গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নগরকান্দা থানার ওসি মোঃ সফর আলী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামবাসীর সঙ্গে নগরকান্দা পৌরসভার মিরাকান্দা গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সলিথা মাদ্রাসায় শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল চলাকালে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মিরাকান্দা ও সলিথা গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে বিবাদমান দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রাতভর উত্তেজনা চলছিলো। পরে শনিবার সকালে সংশ্লিষ্ট মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয় গ্রামের শত শত বাসিন্দা দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা সরকি, বল্লম, রামদা ও ইটপাটকেল হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৬টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত চলে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ। তারা আরও জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রামের বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উভয় গ্রামের নারী ও শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় থানার ওসি মোঃ সফর আলী ও ৬ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানাগেছে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সার্কেল) মোঃ আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ওসিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে। পরবর্তীতে যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।