নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকারে আরও কয়েকজন উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টার মর্যাদায়) আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে যোগ দিচ্ছেন।
এর বাইরে সাবেক একজন সেনা কর্মকর্তার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে তাঁর বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ শুক্রবার নতুন উপদেষ্টাদের একটি
শপথ অনুষ্ঠান হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৭। নতুন ৪ জন উপদেষ্টা শপথ নিলে সদস্যসংখ্যা হবে ২১।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তাদের পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। কয়জন উপদেষ্টা হবেন, সেটা তারা জানে না। উল্লেখ্য, এ ধরনের ক্ষেত্রে সব সময় অতিরিক্ত গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। তাই গাড়ির সংখ্যা দিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন ও সেতু, খাদ্য, কৃষি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব।
অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহউদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে আইন; আদিলুর রহমান খানকে শিল্প; হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়; মো. তৌহিদ হোসেনকে পররাষ্ট্র; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; শারমিন এস মুরশিদকে সমাজকল্যাণ; ফারুক-ই-আজমকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র; সুপ্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক; বিধান রঞ্জন রায়কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা; আ ফ ম খালিদ হোসেনকে ধর্ম; ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ; নুরজাহান বেগমকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ; মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।