দুর্নীতি যেনো পিছু ছাড়ছেনা “একটি বাড়ি একটি খামার” এবং “আমার বাড়ি আমার খামার” প্রকল্প থেকে ব্যাংকে রূপান্তরিত হওয়া “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক”এর। প্রকল্পটির শুরু থেকে ব্যাংক গঠিত হওয়ার পরবর্তী পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে শীর্ষ পর্যায় থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ উঠে আসছে নিয়মিত । বিগত ০৭ই জুলাই, ২০১৯ তারিখে তৎকালীন চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি পদের কর্মকর্তাদের বি ত করে নতুন নিয়োগ দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে “ডেইলি অবজারভার” এবং “দৈনিক ইনকিলাব” সহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় । তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেনের দয়িত্ব পালন কালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ওঠেছিল চরম পর্যায়ে । অনিয়ম, দূর্ণীতির কারনে বিভিন্ন আন্দোলনে প্রতিষ্ঠানটি তখনও সর্বদাই অস্থিতিশীল ছিল বলে জানা যায়। বিগত ০৫ ই জুন, ২০২৩ তারিখে প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সাবেক পিডির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয় যেখানে পিডি প্রশান্ত কুমার রায় এর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ব্যক্তিগত হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
আওয়ামী রাজনৈতিক এজেন্ডায় বাস্তবায়িত “একটি বাড়ি একটি খামার” এবং “আমার বাড়ি আমার খামার” প্রকল্প থেকে “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক” এ রূপান্তরিত হওয়ায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট রেজিমের মদদপুষ্ঠ ও পছন্দের, বোর্ড থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক যারাই প্রতিষ্ঠানটিতে পরিচালনার দায়িত্বে এসেছেন তারাই প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের নিজেদের আখের গোছানোর একটি বড় সুয়োগ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্রদের সফল গণবিপ্লবে বাংলাদেশ পুনরায় স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সাবেক দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ জামিনুর রহমান ও তার সকল অপকর্মের দুই সহযোগী সিস্টেম এনালিস্ট ও সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কর্মকর্তার অপসারন ও তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত সকলের শাস্তির দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন বৈষম্যের স্বীকার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সদ্য চুক্তি বাতিলকৃত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ জামিনুর রহমান বিগত ১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে তার অনুগত দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া তানহার (সিস্টেম এনালিস্ট) ও মোঃ শাহেদ আলমগীর (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট) কে সাথে নিয়ে ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার, সীমাহীন দুর্নীতি, পদোন্নতি ও নিয়োগ বাণিজ্য, আর্থিক সুবিধার বিনিময় শর্তে বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার, অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক কেনাকাটায় সম্পৃক্ত থেকে অবৈধ উপায়ে আর্থিক সুবিধাদি হাসিল করে যাচ্ছিলেন। তার পরও তৎকালীন ফ্যাসিস্ট রেজিমের মদদপুষ্ঠ ও পছন্দের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে আবারো এপ্রিল, ২০২৪ হতে ২ (দুই) বছরের জন্য পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার। বিগত ০২-০৫-২০২৪ তারিখে Dhaka Post কর্তৃক “কেনাকাটায় পিপিআর লঙ্ঘন করেছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক” শিরোনামে এবং ০৪-০৫-২০২৪ তারিখে মানবজমিন কর্তৃক “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ” শিরোনামে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গুলো খবর প্রকাশ করে। কিন্ত অভিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ জামিনুর রহমান, আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া তানহার ও মোঃ শাহেদ আলমগীর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে উক্ত বিষয়টি ধামাচাপা দেন। উল্লেখ্য যে সিস্টেম এনালিস্ট আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া তানহার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও তার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাম পিএস ছিলেন। এছাড়াও আওয়ামী রাজনীতিতে ব্যাপক সক্রিয়তা থাকায় তিনি শেখ হাসিনার বেয়াই (মেয়ে পুতুলের শ্বশুর) খন্দকার মোশাররফ হোসেন এর খুব ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং তার প্রোটকল অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন । অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ায় তাদের প্রভাব, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামীলীগের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী, নেতা কর্মীদের সাথে তার নিয়মিত উঠাবসা ছিলো বলে জানা যায়।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ জামিনুর রহমান ও তার সিন্ডিকেট পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ৪৯২ জন অফিস সহকারী ও ৭২ জন নিরাপত্তা প্রহরীর নিয়োগ প্রক্রিয়াটিতে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তকারী দল ব্যাংকটিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তকারী দলের কাছে তদন্তের সময় উক্ত নিয়োগে উত্তরপত্র টেম্পারিং, পরীক্ষার্থীর নিজে সরাসরি লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করলেও বহু উত্তর পত্রে উক্ত সিন্ডিকেটের ব্যাক্তিদের দিয়ে একই হাতের লেখায় তাদের খাতায় লেখানো, টাকার বিনিময়ে চাকুরী প্রাপ্তির স্বীকারোক্তি সহ বহু অনিয়ম, দূর্ণীতি ধরা পড়েছে। এছাড়াও জুনিয়র অফিসার ও কম্পিউটার অপারেটর দের অফিসার সাধারন পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পদোন্নতি প্রত্যাশিদের কাছ থেকে গড়ে ৩ লক্ষ টাকা করে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিধিমালা মোতাবেক ১:২ অনুপাতে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকার কথা থাকলেও পদোন্নতি বাণিজ্য করার জন্য ৩৪০টি পদের বিপরীতে ১০০০ এর উপরে প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়েছে। অফিসের ল্যাপটপ, পিসি, এসি, ওয়ার্কস্টেশন, ফার্নিচার ইত্যাদি কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের চাইতে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে কেনাকাটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া সাধারন স্টেশনারী ক্রয়ের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত মূল্য দেখানো হয়েছে। এছাড়াও কেনাকাটা গুলোতে করা হয়েছে ব্যপক ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লবকে নস্যাত করার উদ্যেশ্যে ১৫ই আগস্ট, ২০২৪ তারিখে সারাদেশে আওয়ামী লীগের ব্যাপক নাশকতা, তান্ডব, অরাজকতার মাধ্যমে প্রতিবিপ্লব ঘটানোর সমর্থনে ঘোরতর আওয়ামী মদদপুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ জামিনুর রহমান (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত) ও তার সকল অপকর্মের সহযোগী দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া তানহার (সিস্টেম এনালিস্ট) ও মোঃ শাহেদ আলমগীর (সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট) আওয়ামী নৈরাজ্যের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ওই একই সুযোগে তাদের সিন্ডিকেটের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বৈষম্য ও দূর্ণীতি বিরোধী আন্দোলনকে চিরতরে দমন করার জন্য ঠিক ১৫ই আগস্টে বহিরাগতদের দিয়ে ঢাকা, ইস্কাটন প্রধান কার্যালয়র সামনে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলা ও নাশকতা চালান।
১৫ই আগস্ট, ২০২৪ তারিখে এমডি ও তার ২ (দুই) সহযোগীর নির্দেশে সেদিন সারা দেশ থেকে আওয়ামী কোটার বিশেষ সুবিধায় ব্যাংকে নিয়োগ প্রাপ্ত আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এর কর্মী সমর্থক, ভাড়াটিয়া গুন্ডা, হোন্ডা হেলমেট বাহিনী, বহিরাগত সহ প্রায় ৪০০ (চারশত) এর অধিক লোক ঢাকায় অনুপ্রবেশ করে। শেখ মোঃ জামিনুর রহমান (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত) ও আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া তানহার (সিস্টেম এনালিস্ট) এর নির্দেশে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা প্রধান কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধনকারী ব্যাংকের নিরীহ নিরস্ত্র সাধারন কর্মকর্তা, কর্মচারী সহ অত্র ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত মেধাবী কর্মকর্তাদের উপরে লাঠিসোটা, ক্রিকেট স্ট্যাম্প, হকিস্টিক, দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে। সন্ত্রাসী হামলায় বহু আন্দোলনকারী উক্ত নাশকতাকারীদের দ্বারা মারাত্বক জখম, রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত হয় । বর্বরোচিত এই হামলার ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়া সহ অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেইসবুক লাইভ, ছবি, ভিডিও সহ সিসি টিভির ক্যামেরার ফুটেজ তদন্ত করলেই দেখা যাবে এরা সবাই বহিরাগত এবং ১৫ই আগস্ট, ২০২৪ তারিখে এরা কেউই প্রধান কার্যালয়ের কর্মী ছিলেননা।
শেখ মোঃ জামিনুর রহমান ও তার দুই সহযোগী সিস্টেম এনালিস্ট ও সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্টের ১৫ই আগস্টের ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি সারাদেশ ব্যাপি বহু সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলে ব্যাংকে চলমান অনিয়ম,দূর্ণীতি, চরম রাজনৈতিক দূবৃত্তায়ন ও বৈষম্যের সার্বিক অবস্থার বিবেচনায় গত ২০-০৮-২০২৪ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাখা এবং রাস্ট্রমালিকানাধীন বানিজ্যিক ব্যাংক শাখার পৃথক ০২ (দুই) টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক পরপর ০২ মেয়াদে নিয়োগকৃত এমডি শেখ মোঃ জামিনুর রহমান এবং মোঃ আকরাম-আল-হোসেন এর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বাকী মেয়াদ বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এমডি শেখ মোঃ জামিনুর রহমানকে চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে সরানো হলেও তার আওয়ামী মদদপুষ্ঠ সম্পূর্ণ সিন্ডিকেট ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এখনো বহাল তবিয়তেই রয়ে গেছেন। ফলশ্রুতিতে, সকল সুস্পষ্ট প্রমান থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রাণঘাতি হামলা, নাশকতার সাথে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থেকে কোন রকম প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। বৈষম্য ও দূর্ণীতি বিরোধী আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের দুনীর্তিবাজ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বর্তমানে নীতি বিরুদ্ধ নতুন সংগঠন তৈরি করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি আওয়ামী রাজনৈতিক বিবেচনায় “একটি বাড়ি একটি খামার” এবং “আমার বাড়ি আমার খামার” প্রকল্প থেকে “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক” এ রূপান্তরিত হয়ে বর্তমান পর্যন্ত যারা যারা প্রতিষ্ঠানে পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন তাদের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিগণ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও গণ্যমাণ্য প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের কাছে জোর তদবির ও আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানে পুনরায় চেয়ারম্যান ও এমডি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য। এছাড়াও মাঠপর্যায়ে সকল আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদেরকে চাঙ্গা করার জন্য দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক এমডি শেখ মোঃ জামিনুর রহমানের যোগসাজসে তার অনুসারী সুবিধাভোগী দুনীর্তিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এমডির পুনঃনিয়োগের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তাকে পনরায় ব্যাংকে এমডি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হবে বলে এই বিভ্রন্তিকর তথ্যটি তারা ইতিমধ্যে মাঠ প্রশাসনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে তাদের অনুসারীদের কাছে এই তথ্যও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যদি এমডি শেখ মোঃ জামিনুর রহমান কে আনা সম্ভব নাও হয় তবে যিনি এমডি ও চেয়ারম্যান হয়ে আসবেন তারা শেখ মোঃ জামিনুর রহমানের ছায়া হয়ে আসবেন এবং তাদের ছত্র ছায়ায় থেকেই সাবেক এমডি শেখ মোঃ জামিনুর রহমান ও তার সিন্ডিকেট পেছনে থেকে ব্যাংকের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। “একটি বাড়ি একটি খামার” এবং “আমার বাড়ি আমার খামার” প্রকল্প থেকে “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক” এ রুপান্তর হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী মদদপুষ্ঠ যারা যারা বিগত রেজিমে বোর্ড ও ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের মধ্য থেকেই কাউকে চেয়ারম্যান ও এমডি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য সিন্ডিকেটটি ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য যে, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বর্তমান দূর্ণীতিগ্রস্থ সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পরিকল্পনায় বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক পিডি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আকবর হোসেন (প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব-“আমার বাড়ি আমার খামার” প্রকল্প ) নিজেকে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বি ত হয়েছেন এই দাবি করে পুনরায় পল্লী স য় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হবার জন্যে জোর তদবীর চালাচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে।
বর্তমানে দেশের সুষ্ঠু অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং সংস্কারের স্বার্থে, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম, দূর্ণীতি মুক্ত করে পরিস্থিতির উন্নতি সাধন, ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। উক্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যাংকটিতে শৃঙ্খলা ও কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা সহ প্রশাসনিক স্থবিরতা দূরীকরণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও অনতিবিলম্বে বিগত রেজিমে প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে নিয়োগ প্রাপ্ত সকল ব্যাক্তিগণের বাইরে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, বিচক্ষণ, দায়িত্বশীল, কর্মচারী বান্ধব ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের পাশাপাশি আওয়ামী রেজিমের সম্পূর্ণ সিন্ডিকেটটি ভেঙ্গে নতুন ডিএমডি, জিএম পদায়ন এবং পরিচালনা পর্যদ গঠন করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।