বেঁচে গেল বাংলাদেশ। নিশ্চিত হারের মুখ থেকে রক্ষা পেল এনামুল হক বিজয়ের দল। বৃষ্টিই বাঁচিয়ে দিয়েছে টাইগারদের। কৃতীত্ব দিতে হবে তানজিম সাকিব ও নাইম হাসানকেও। ফলে ড্র দিয়েই শুরু হলো পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ দলের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ। জয়ের স্বপ্ন আগেই শেষ হয়। শুক্রবার শেষ দিনে বাংলাদেশের চাওয়া ছিল কোনো রকমে ড্র করা। বিপরীতে প্রথম ইনিংস থেকে ২৪৫ রানের লিড পাওয়া পাকিস্তানকে জয়ের জন্যে যেকোনো মূল্যে অলআউট করতে হতো টাইগারদের। তবে চেষ্টা করেও ৫ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি নাসিম শাহরা। ইসলামাবাদে টসে জিতে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১২২ রানে। ওই ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয় একাই করেন ৬৫ রান। বাকিদের কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। জবাবে ৪ উইকেটে ৩৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান।
উমর আমিনের ১৭৭ রানের ইনিংসে যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান, তখন তৃতীয় দিনে মাঠেই নামা হয়নি দুই দলের। বৃষ্টিতে গড়ায়নি খেলা। ফলে চতুর্থ দিনে আর নিজেরা ব্যাট না করেই ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ২৪৫ রানের লিড তখন পাকিস্তানের।
শেষদিনেও বাগড়া দেয় বেরসিক বৃষ্টি। এদিন মাত্র ৩৯.২ ওভার মাঠে গড়িয়েছে। যার পুরোটা সময় ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। তবে এর মাঝেই ফের দেখা দেয় হারের শঙ্কা। ৬৯ রানে হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। জাকির অনেকক্ষণ মাঠে থাকলেও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
তবে ব্যর্থ হয়েছেন এনামুল হক বিজয়, শাহাদাত হোসেন দিপুর ও মুমিনুল হক। কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে তিনে নেমে ৭ রান করা বিজয় এবার ওপেনিংয়ে করেছেন ৪ রান। ১৪ রান করেন শাহাদাত দিপু। ৮ রান আসে মুমিনুল হকের ব্যাটে।
তবে ব্যাট করতে আসেননি মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম। যদিও শেষদিকে নাঈম হাসানের ১১৯ বলে ৫৫ এবং তানজিম হাসান সাকিবের ১১৬ বলে ১১ রানের ইনিংসে বিপদ মুক্ত হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তাদের দু’জনের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে ড্র করে সফরকারীরা।