রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সফল উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, খুনি হাসিনা দেশকে কখনও ভালোবাসেনি, ভালোবাসেনি এ দেশের মানুষকে, ভালো মানুষের লেবাস ধরে প্রতিনিয়ত নির্যাতন চালিয়েছে এ দেশের সাধারণ জনগনের উপর। লুটতরাজ করে দেশের অর্থ পাচার করে দেশকে ধ্বংশ করে দিয়েছে পালাটি হাসিনা। বিশে^র কাছে সে এখন পালাটি নামে পরিচিত। গতকাল মহিশখোচায় ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত মিরাজের বাড়িতে কবর জিয়ারত শেষে এক স্মরন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দীন বাবুল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হেসেন সহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা জানেন মহিশখোচার বীর সন্তান মিরাজ খান ছাত্র আন্দোলনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গনতন্ত্র মুক্ত করার জন্য শেখ হাসিনার পুলিশের সামনে দাড়িয়ে গুলিতে নিহত হয়েছে। আমি সেই মিরাজ সহ হাজার হাজার ছাত্র জনতা যারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে এই অবৈধ সরকার কে পতন করেছে তাদের বিদেয় আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে জাতি তাদের বীরশ্রেষ্ঠ হিসাবে তাদের স্মরন করবে। নমরুদ ধংস হয়েছে, ফেরাউন ধংস হয়েছে, হাসিনা কি তার চেয়ে বড় শক্তিশালী? হাসিনারও ধ্বংস হয়েছে। যারা জুলুমবাজ, বেবিচার করে, যারা নাটক রচনা করে, নির্বাচনের নামে দিনের ভোট রাতে করে তারা, নিজেরা ভোট দেয় না, ভোট কেন্দ্র কোন লোক থাকে না, সমস্ত মানুষের অধিকার যারা খুন্ন করে তাদের যে জনসমর্থন ছিলো না তার প্রমাণ এবার হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছিলো এতো নিরাপত্তার মধ্যে আমি বসবাস করি আমি কেন গদি ছেড়ে দিবো, উনি বলেছিলেন, আমি শেখ মুজিবের মেয়ে আমি কোন সময় পালাই না। কিন্তু এমন ভাবে পালিয়েছে যার বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৬ বছর জেল খেটেছে, ৮০ বছর বয়স, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও সরকারের সাথে আপোশ করে পালিয়ে যায় নাই এ জন্য সে আপোষহীন, উনি দেশ প্রেমিক, উনি বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চায়। শেখ হাসিনার টাকা পয়সা একমাত্র কারবার ছিলো ভন্ড দরবেশ সালমানে এফ রহমান। লুঙ্গি পরে মাথায় কলপ করেও রক্ষা পায়নি এই ভন্ড দরবেশ। আমি এখানে কথা দিচ্ছি আগামীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে শহীদ মিরাজের পরিবার পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং আদিতমারী থেকে যে রাস্তাটি মহিশখোচা বাজারে গিয়েছে এই রাস্তাটির নাম করন করা হবে শহীদ মিরাজ সড়ক। মিরাজ হলো সেই দামাল ছেলে সেই বীরশ্রেষ্ঠ, যে গনতন্ত্রের জন্য খুনি হাসিনার পতনের জন্য জীবনের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। তার জন্য আমরা গৌরব বোধ করি।
সুতরাং এই সমস্ত সুর্য সন্তানের নাম পৃথিবীতে যাতে চীর অল্মান হয়ে থাকে সে ব্যবস্থা আমাদের সকলকে করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের মহাসচিব বলেছিলেন, ক্ষমতা ছাড়–ন নইলে পালানোর পথ পাবেন না, এই বক্তব্যের জের ধরে সন্ত্রাসী যুগলীগের গডফাদার ওবাইদুল কাদের ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ফকরুল আমি তো পালাবার পথ পাব না আপনার ঠাকুরগায়ের বাসায় একটু জায়গা দিয়েন। আমাদের মহাসচিব রংপুরের জনসভায় তার উত্তরে বলেছিলেন, ওবাইদুল কাদের সাহেব আমার ঠাকুরগায়ের বাসার সমস্ত দরজা খোলা আছে, কোন দরজায় আসবেন আসেন। দুলু বলেন, দেশে স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু খুনি, জালিম, গুম, লুটতরাজকারী আওয়ামীলীগ এখনো নানা ষড়যন্ত্র করছে। সংখ্যালঘুদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে নাটক তৈরি করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা যেন কোন ক্রমেই এই অরাজকতা করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি। শেষে মিরাজ ও আবু সাঈদ সহ আন্দোলনে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দোয়া করে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।