শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটি আয়োজিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। গতকাল মঙ্গলবার আইসিসির এক ভার্চ্যুয়াল বোর্ড মিটিংয়ে এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সংশয় ছিলই। যদিও অন্তর্র্বতী সরকারের পক্ষ থেকে আশার কথা শোনানো হয়েছিল। এ সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘এটা আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য একটা ভালো মাইলফলক হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকাল পার করছে, একই সঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা শুধু ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, রাষ্ট্রীয় বিষয়।’ তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সময় খুব একটা ছিল না। ২০ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হতো। আজ আইসিসির বোর্ড সভায় উপস্থিত সদস্যদের পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এখানে আয়োজিত হতে পারে না। এ ব্যাপারে বিসিবির পক্ষ থেকেও সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হলেও বিশ্বকাপের অফিশিয়াল আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নামই থাকবে। আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত নয় বলেও নিজের মনোভাবের কথা জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। তিনি বলেছিলেন, ‘এ মুহূর্তে সেখানে (বাংলাদেশে) একটা ক্রিকেট ইভেন্ট চলা এবং যে দেশ সত্যিই ভুগছে—তাদের পুঁজি নিয়ে অন্য জায়গায় (বিশ্বকাপে) ব্যবহারের ব্যাপারটি আমার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে। যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে, তাদের সহায়তায় এখন সবাইকে প্রয়োজন।’
এর আগে বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয় ভারত। অস্ট্রেলিয়াও যে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী নয়, জানা যায় সেটিও। অবশ্য শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে আগ্রহী হলেও শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হচ্ছে আরব আমিরাতকে। এর পেছনে বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের মিলটিও সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।