বিএনপি কর্মী মাসুমকে গুমের অভিযোগে যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমানসহ ৭ পুলিশ সদস্যের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে মাসুমের মামা কুদ্দুস আলী বাদী হয়ে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়ার আদালতে মামলাটি করেন। বিচারক অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী রূহিন বালুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাসুম যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত আনিসুর রহমান বর্তমানে ডিআইজি মর্যাদায় নৌ পুলিশে সংযুক্ত আছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, যশোর কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলী, এসআই আবু আনসার, কন্সটেবল হাফিজ, কন্সটেবল অভিজিৎ, কন্সটেবল সাঈদ ও কন্সটেবল হাসনাত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট মাসুম সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। বাড়ি ফেরার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসআই আবু আনসার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গাড়িতে উঠান। এসময় মামলার বাদী মাসুমকে আটকের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, ‘ও বড় নেতা হয়ে গেছে, ওকে মেরে ফেলা হবে’। পরের দিন থানায় গিয়ে মাসুমকে হাজতে পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করেনি। এরপর থেকে মাসুমের কোনো খবর মেলেনি।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মাসুমের স্বজনদের ধারণা, তাকে পুলিশ হেফাজতে হত্যার পর গুম করা হয়েছে। তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এবং ওসি শিকদার আক্কাস আলীর নির্দেশ মাসুমকে গুম করা হয়েছে। ওই সময় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বর্তমান সময়ে পরিবেশ অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচার পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।