পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১৩৭ নং কলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নব জাতীয় করণের পর সরকারি ভাবে ভবন নির্মানের বরাদ্দ হয়। উক্ত ভবন নির্মানে ব্যাপ দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ২০১৮ সনে বিদ্যালয় ভবন নির্মানের টেন্ডার হলে ঐ ভবনের টেন্ডারে একাধিক ঠিকাদার অংশগ্রহন করলেও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ^াস টেন্ডার পায় বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরো জানান, ভবন নির্মানের জন্য ৭৭ লক্ষ টাকা সরকারি ভাবে বরাদ্দ হলেও যথাযথ ভাবে উক্ত টাকার ব্যবহার হয়নি। ২০১৯ সালে ঐ বিদ্যালয় ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয় পাশাপাশি শুরু হয় চঞ্চল কান্তির পকেট ভর্তির কাজও। স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারী বরাদ্দকৃত ২লক্ষ টাকায় পাশেই একটি টিনের ছাউনি ঘর করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যহত রাখেন। বিদ্যালয়টিতে প্রাক-প্রাথমিক শিশু শ্রেণি হইতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৯৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক সহ মোট ০৬ জন শিক্ষক রয়েছে। বিদ্যালয়ের শুরুলগ্ন থেকে সত্য রঞ্জন বাবু প্রধান শিক্ষক এবং মজিবুর রহমান, খাদিজা বেগম, সহ: শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নব জাতীয়করণ হওয়ার পরে শিবানী দাস, সাবরিনা খানম ও লিকু মন্ডল অন্য বিদ্যালয় হতে বদলী হয়ে এই বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের চরম বিপাকে রেয়েছেন বলে জানান। এদিকে বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজে অনিময় এর বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শিক্ষকদের অন্যত্র বদলী এবং চাকুরী খেয়ে দিবে এমন হুমকি দেওয়ায় শিক্ষকরা মুখ বন্ধ রাখেন। এমনকি ঐ এলাকার স্কুল হিতাকংঙ্খি শিক্ষার্থী অভিভাবকরা এ প্রতিনিধিকে জানান, আওয়ামী দু: শাসনের সময় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার যুবলীগ নেতা তার ক্ষমতার দাপটে স্কুলটির নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম করলেও আমরা তার ভয়ে কথা বলতে পারিনি। বিদ্যালয়ের ৩ এর ২ অংশ কাজ করে বসে আছেন প্রায় ৪ বছর ধরে। বিদ্যালয় ভবনে পাঠদানের সু-ব্যবস্থা এখনও তৈরি না হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরের মধ্যে পাঠদান করাতে বিপাকে পরেছে শিক্ষকমন্ডলীরা।
এলাকার একাধিক সূত্র এ প্রতিনিধিকে জানান, আওয়ামী দু:শাসন বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পালিয়ে যাওয়ায় এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ সস্তির নিঃশ^াস ছেড়ে বলেন, এবার হয়ত বিদ্যালয় ভবটির অস্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হবে এবং টেন্ডারবাজ ঠিকাদারের এ গাফেলতি ও অনিয়মের সঠিক বিচার হবে বলে তারা আশাবদী। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। ঐ স্কুলের কর্তব্যরত প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষকমন্ডলী শিক্ষা উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।