‘কেউ কারো বাড়িতে হামলা করবে, জানমালের ক্ষতি করবে, এজন্য বিএনপি রাজনীতি করে না। বিএনপি রাজনীতি করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। বিএনপি সব সময় মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল। মানুষের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর মতো দল।’ পটুয়াখালীতে নির্যাতনের শিকার ফিরোজ আশরাফের বাড়ি গিয়ে গত শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এসব কথা বলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
এসময় কেন্দ্রীয় নেতাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন ফিরোজ আশরাফের মা শেফালী বেগম। তিনি বলেন, ‘এই সাইদুল আমার ছেলেরে ধইরা নিয়া ওই পাশের উঠানে মাথা পারাইয়া ধরছে, তখন আমার ছেলে ওমা, ওমা বলে চিৎকার করছে। আমার ছেলেরে ওরা নিঃস্ব বানাইয়া ফেলছে। আমি এই হামলার বিচার চাই।’ এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করে সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রিমানুল ইসলাম রিমু, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন শিকদার আকরাম, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মৃধাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফিরোজ আশরাফ বলেন, আমি বিভিন্ন কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর। ৫ আগস্ট সাইফুল ইসলাম মৃধা ও রিমানুল ইসলাম এবং আকরাম সিকদার আমার বাসা ও গোডাউনে এসে ভাঙচুর চালায়। গোডাউনে থাকা প্রায় ৪০ লাখ টাকার বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় আমি পটুয়াখালী আদালতে দুটি মামলা করেছি। তবে তাদের বিরুদ্ধে যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে আমি ও আমার পরিবার খুশি।
এ ব্যাপারে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, বিষয়টা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবগত হয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন যাতে আমি পটুয়াখালীতে এসে ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজ নেই। যারা হামলা অথবা ভাঙচুর করেছে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।