শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

কালীগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাকরোল চাষ, কৃষকের মুখে হাসি

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বির্তুল গ্রামে কোন প্রকার বালাইনাশক ছাড়াই বিভিন্ন কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাকরোল চাষ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ওই গ্রামের চাষ করা কাকরোলের চাহিদা রয়েছে বেশ। রাজধানীসহ দেশের আশপাশের বাজার গুলোর চাহিদা মিটিয়েও যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এছাড়াও বির্তুল গ্রামটি হচ্ছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির গ্রাম। জানা গেছে, উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বালু নদী তীরবর্তী গ্রাম বির্তুল। ঢাকার লাগোয়া এ উপজেলার এ গ্রামটির নিরাপদ সবজির চাহিদা দেশজুড়ে। বিশেষ করে এ গ্রামে চাষ করা কাকরোল উৎপাদন আশেপাশের গ্রামের চাষিদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। কাকরোল চাষে গ্রামটির চাষিদের সফলতায় একই ইউনিয়নের গাড়ারিয়া, বাগদী, পারওয়ান এবং পানজোরা গ্রামের চাষিরাও বিষমুক্ত সবজি কাকরোল চাষ করছেন। স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, টারজান ফেরোমান ফাঁদ, সেক্স ফেরোমান ফাঁদ, হলুদ স্টিকি ট্র্যাপ, হাত পরাগায়ন, আইপিএ প্রযুক্তি, ব্যাগিং, সুস্থ ও ভালো বীজ, সুষম সার, মালচিং, ভার্মি কম্পোস্ট এবং জৈব বালাইনাশকের মাধ্যমে ওই গ্রামগুলোতে নিরাপদ সবজি কাকরোল চাষ হচ্ছে। কৃষির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু নিরাপদ সবজির গ্রাম নয়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত একটি করে নিরাপদ সবজি বাজার করা জরুরি। তাহলে কৃষকেরা সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন। কথা বির্তুল গ্রামের নিহার চন্দ্র দাস, রমেশ চন্দ্র দাস ও জোবায়েল ভূঁইয়াসহ কয়েকজন কাকরোল চাষির সাথে। তারা জানান, কাকরোলের চাহিদা থাকায় পাইকাররা বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে বাজারে নিয়ে যাওয়ার ঝামেলা থাকছে না। যাতায়াত খরচও কমে যাচ্ছে। ফলে আমাদের লাভের পরিমাণ বেড়েছে বলেও জানান কৃষকরা। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, দেশের বাইরের চাহিদার কথা চিন্তা করে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি এবং বিভিন্ন সহযোগিতা করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার সম্ভাবনাময় ফসল কাকরোল। কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com