জাতীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কোন সংখ্যা লঘু নয় সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সবার সমান অধিকার থাকবে, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করে আইনের শাসন কায়েম করা হবে। রাষ্ট্রের প্রত্যেকেই যেন সম অধিকার ভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দিল্লিতে বসে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য পাঁয়তারা করছেন দাবী করে বলেন, শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে টেনে হেঁচড়ে এনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আদালতে গনহত্যা সহ সকল অপকর্মের বিচার করা হবে। বুধবার ২৮ আগষ্ট’২৪ চকরিয়ার গন সম্বর্ধনায় বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন: জনসভায় সালাহউদ্দিন আহমেদ বুধবার ২৮ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৫ টায় চকরিয়া শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে ও ৭ টায় পেকুয়া চৌমুহনীতে পৃথক গন-সম্বর্ধনায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন। পেকুয়ার গন সম্বর্ধনায় বলেন, বিগত ১৫-১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় এখনো বসে রয়েছেন তাঁদের আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি। তারপরেও যদি মনে করেন, বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, এ দেশের ছাত্র-জনতা সে সুযোগ দেবে না। বহির্বিশ্বের কোনো শক্তির কোনো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশের ছাত্র–জনতা সফল হতে দেবে না।’ সালাহউদ্দিন আরো বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা কখনো জনগণের সামনে আবার রাজনীতি করতে এলে আপনারা তাঁদের প্রত্যাখ্যান করবেন। এই মাটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে পবিত্র হয়েছে। সুতরাং হাসিনা ও তাঁর দোসরদের দ্বারা আর কখনো অপবিত্র হতে দেয়া হবে না। এমন কি ভবিষ্যতে ও কোন সরকার যেন স্বৈরাচারী হতে না পারে তার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানান জাতিয় এই নেতা। পেকুয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদের গ্রামের বাড়ি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬১ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলং এর স্থানীয় পুলিশ মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে। শিলংয়ের আদালতে দীর্ঘ আইনী লড়াই করে মুক্ত হন। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরেন। ১০ বছরের বেশি সময় পরে এদিন নিজ জেলা কক্সবাজারে আসেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর দলীয় নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে করে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে চকরিয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে সন্ধ্যা ৭ টায় পেকুয়া পৌঁছেন তিনি। সেখানেও তাঁকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইনের পরিচালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ। সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী সহ অনেক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদ চকরিয়া শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপি আয়োজিত গন সম্বর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন। চকরিয়ায় বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসভায় আরো বক্তব্য দেন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শামিম আরা স্বপ্না, সহ সভাপতি নুরুল বশর চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আক্তার চৌধুরী, সাবেক জেলা যুবদল সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, সাধারন সম্পাদক নিশান উদ্দিন নিশান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিক উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক কুতুবউদ্দিন, নুরুল ইসলাম হায়দার, ফখর উদ্দীন ফরায়জী, এম মোবারক আলী, এসএম আবুল হাসেম, আব্দুর রহিম চৌধুরী, হেফাজতুর রহমান চৌধুরী টিপু সহ চকরিয়া ও মাতামুহুরী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।