জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের শীর্ষ নির্বাহী ভলকার তুর্ককে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সহিংসতার যত ঘটনা ঘটেছে, সেসবের আনুষ্ঠানিক তদন্তের অনুরোধও করেছেন তিনি। ভলকার তুর্ক এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে নিশ্চিয়তা না দিলেও আনুষ্ঠানিক তদন্তের ইস্যুতে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এসব তথ্য। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক শিক্ষার্থী-জনতা আন্দোলনে ঘটা সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করতে গত ২২ তারিখ মানবাধিকার হাইকমিশন কার্যালয়ের একটি টিম ঢাকায় এসেছিল। মানবাধিকার হাইকমিশনের এশিয়া-প্যাসিফিক শাখা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রধান ররি মঙ্গোভেন ছিলেন এই টিমের নেতৃত্বে।
সে সময় জাতিসংঘের বাংলাদেশ শাখা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা সে সময় রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এই টিমের মূল লক্ষ্য সহিংসতার তদন্ত নয়, বরং বরং পর্যালোচনা এবং এসব সহিংসতার ঘটনা কীভাবে তদন্ত করা হবেÍ সে বিষয়ক নির্দেশনা বা গাইডলাইন প্রদান করা। বাংলাদেশ শাখা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “তাদের মূল লক্ষ্য কিন্তু সহিংসতার তদন্ত নয়, বরং পর্যালোচনা এবং এসব সহিংসতার ঘটনা কীভাবে তদন্ত করা হবে। সে বিষয়ক নির্দেশনা বা গাইডলাইন প্রদান করা।”
সাত দিন ঢাকায় অবস্থানের পর গতকাল ২৯ নভেম্বর বিদায় নিয়েছে জাতিসংঘের টিম। ঢাকায় অবস্থানকালে টিমের সদস্যরা বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতিনিধি, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে শুক্রবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন।