ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় চলমান প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পগুলো বড়; সেগুলোর কাজ চলবে। শুধু তা–ই নয়, উভয় দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনায় আরও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে অনুষ্ঠিত সৌজন্য বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম এলওসি চুক্তি হয় ২০১০ সালের আগস্ট মাসে; অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় এলওসি চুক্তি ছিল ২০০ কোটি ডলারের; ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তা সই হয়। ২০১৭ সালের মার্চে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয় ৪৫০ কোটি ডলারের।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারত বড় প্রতিবেশী দেশ। বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ যে একটা ভালো জায়গা, তাঁকে (প্রণয় ভার্মা) সে কথা জানানো হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য তাদের সহযোগিতা অক্ষুণ্ন থাকবে।
বৈঠকে এলওসির তিনটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক ক্ষেত্র আছে। এগুলো কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, এলওসির প্রকল্পগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ; দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখেই সেগুলো হাতে নেওয়া হয়েছিল। এসব প্রকল্প বন্ধ হবে না।
ভারতীয় হাইকমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারত আরও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য নেবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা খাতেও ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকেরা ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চান। প্রণয় ভার্মা অর্থ উপদেষ্টার মতোই বলেন, এলওসির প্রকল্পগুলো বড় এবং সেগুলো বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে আমরা যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই, আজকের বৈঠকই তার প্রমাণ। দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মতিতে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়িত হবে এবং ভারত এ ব্যাপারে ইতিবাচক।’