মুন্সীগঞ্জ সদর ও টংগিবাড়ী থানা, শহরের সুপারমার্কেটে অবস্থিত ট্রাফিক ও সদর পুলিশ ফাঁড়ি কার্যালয়ে আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন জেলার নতুন পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার। এছাড়া ওই সভায় পুলিশ সুপার জানান, থানা থেকে লুট হওয়া ৩১টি সরকারি অস্ত্র ও ৮-৯ হাজার গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। সভার শুরুতে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমাদের কিছু অপেশাদার ও উচ্চাভিলাষি পুলিশ সদস্যের কর্মকান্ডের কারণে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন দুস্কৃতকারী কতৃক। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আমাদের পুলিশ সদস্য যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ এবং জুলুমবাজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনাদের সাংবাদিক সদস্যদের মধ্যে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’ যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে কাজ করা বিরাট চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর কুচক্রি মহল সদর-টংগিবাড়ী থানা, ট্রাফিক কার্যালয় লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থার জন্য প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আপনাদের কাছে থাকা ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করার আহবান করছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের জন্য বিব্রতকর এমন কাজে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সদস্যরা জড়িত হলে তাদের শাস্তির হুশিয়ারি দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সরকারের অস্ত্র লুট করে কেউ কখনো পার পায়নি। যতই শক্তিশালী কিংবা দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী হোক না কেন সরকারি অস্ত্র ফেরত দিতে হবে। এখনো লুট হওয়া ৩১ টি অস্ত্র ও ৮-৯ হাজার গুলি উদ্ধার হয়নি। মতবিনিময় সভায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছিরউদ্দিন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি, সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, শহীদ-ই-হাসান তুহিন, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, দৈনিক নয়াদিগন্তের জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সালাম, হুমায়ুন কবিরসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।