টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ২০১০ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে নির্দলীয় আবু বকরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে এই নৃশংস হত্যার পুনঃতদন্ত ও বিচারের দাবীতে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ সকল স্তরের জনসাধারণ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় মধুপুর বাসস্টান্ডের আনারস চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন, শহীদ আবু বকর স্মৃতি সংসদ গোলাবাড়ি মধুপুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৩য় বর্ষের মেধাবী নির্দলীয় শিক্ষার্থী ছিলেন শহীদ আবু বকর সিদ্দিক। তিনি মধুপুর উপজেলাধীন গোলাবাড়ি এলাকার দরিদ্র কৃষক রুস্তম আলীর ছেলে। শহীদ আবু বকর সিদ্দিক ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের দুপক্ষের ক্রসফায়ারে নিজ কক্ষে মাথায় গুলি লেগে মারাত্মক ভাবে আহত হন। তিনি দীর্ঘ ২৪ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শহীদ আবুবকর এর পিতা রোস্তম আলী, বড় ভাই আব্বাস আলী, ছোট ভাই ওমর ফারুক, মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র কর, সাবেক অধ্যক্ষ বজলুর রশিদ খান চুন্নু, মধুপুর সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী, আবুবকরের বন্ধু শফিকুল ইসলাম শুভ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র মো. জুবায়ের, এস,এম সবুজ,একরামুল হক,নাসির উদ্দিন মিলন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে পরিকল্পিত ভাবে দীর্ঘ সময় পার করে বাদীপক্ষকে আপিলের সুযোগ না দিয়ে অন্যায় ভাবে সকল আসামীদের খালাস দেওয়া হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতনের পর দেশের মানুষ ন্যায় বিচার পাবে, এই প্রত্যাশায় মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবু বকর সিদ্দিক হত্যা মামলার প্রহসনের রায় বাতিল করে পুনঃ বিচারের মাধ্যমে সকল আসামীদের মৃত্যুদন্ড কার্ষকর করার দাবি জানান তারা। এ মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সকল স্তরের জনসাধারণ অংশ গ্রহন করেন।