মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ফসলের মাঠে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। ফসলের মাঠ যেন সবুজের সমারোহ। কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে অন্যরকম আনন্দ। চলতি বছর আমন মৌসুমে শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হলেও এখন সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে কিছু কিছু ফসলের ক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দেয়ায় কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে সাটুরিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৭৮৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ১০৩ এবং বিনা ধান ১৭ আবাদ হয়েছে। এ জাতগুলোর জীবনকাল কম, রোগবালাই কম এবং ফলন রোপা আমনের অন্যান্য জাতের তুলোনায় অনেক বেশি। ফলে এ বছর সাটুরিয়ার কৃষক আমনে বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করা যায়। উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের গাছ ভালো রাখতে আর ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকরা এখন ক্ষেতের পোকামাকড় দমন করতে ওষুধ স্প্রে করা, জমির পানি দেখাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন যেন দ্রুতগতিতে বেড়ে উঠছে আমনের গাছ। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধান গাছের পাতা। এর সাথে আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান কৃষকরা। উপজেলার মালশি এলাকার কৃষক মোঃ রফিক জানান, এ বছর আমন ক্ষেত এখন পর্যন্ত ভালোই রয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি। সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ বছর উপজেলায় রোপা আমনে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত মাঠের ফসল বেশ ভালো অবস্থায় আছে। তবে বর্তমানে দিনে অনেক গরম আবার রাতে কিছুটা ঠা-া। এ ধরনের আবহাওয়া ধানে রোগবালাইয়ের আক্রমণ বাড়ে। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক কৃষকদের সতর্ক করা হচ্ছে।