রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে হবে বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, দেশে হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সব ধর্মের ঐক্য ছাড়া জাতি এগোতে পারবে না। জগদ্দল পাথর এক স্বৈরশাসক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে যেমন টিকতে পারেনি, তেমনি আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র টিকতে পারবে না। ছাত্র-জনতা সবাই যার যার অবস্থান থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করলে আমাদের এ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর ভবিষ্যতে আর কেউ আঘাত করতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামীকে হিন্দুবিদ্বেষী দল হিসেবে অপপ্রচার চালানো হয়। অথচ দেশে হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার জন্য জামায়াত প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বেলাল হোসাইনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জামায়াত নেতা ভিপি সাহাব উদ্দিন, পৌর আমির মাওলানা ইব্রাহীম, ভিপি জাহাঙ্গীর হোসেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রী প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র দেবনাথ, চৌদ্দগ্রাম সরকারি মডেল হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুপম সেনগুপ্ত, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কনক চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম সরকার, সদস্য নান্টু দেবনাথ, বৌদ্ধ সভাপতি শৈবাল শিংহ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ডা. তাহের আরো বলেন, চৌদ্দগ্রামে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের ঠাই নাই। আপনারা কাউকে চাঁদা দিবেন না। আপনাদের জায়গা কেউ দখল করলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে যেমন হিন্দুবিরোধী হিসেবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তেমনি হিন্দুদের কপালেও আ’লীগের একটি ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই হিন্দুদেরও যেমন জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে কাজ করতে হবে, তেমনিভাবে জামায়াতকেও হিন্দু মানেই আ’লীগ এই ‘তকমা’ দূরীকরণে কাজ করতে হবে।’ ‘হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষায়
জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা দু’টি দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। প্রথমত, রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্বাধীন কমিশন করে হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের বিচার করতে হবে’। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বাইরেও যদি আপনাদের জামায়াতকে প্রয়োজন বলে মনে হয়, তবে যেকোনো সময়েই আমাদেরকে ফোন করবেন। আমরা সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াব। মতবিনিময় সভায় দূর্গাপূজায় বিশেষ সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন চৌদ্দগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের।