শরণখোলায় রাজৈর গ্রামে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে একজন কলেজ শিক্ষকের বাডী ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।এ ছাড়াও প্রতিপক্ষের লোকেরা শিক্ষকের বাডীরর গাছপালা কেটে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় বাগেরহাট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শরণখোলা প্রেসক্লাবে সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলার রাজৈর গ্রামের বাসিন্দা খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার প্রতিবেশী বাগেরহাট আদালতের মোহরার রতন হাওলাদার ও তার পুত্র সাইফুল ইসলাম জুয়েল গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। মামলায় বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আদালতের নিষেধ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ রতন হাওলাদার ও তার পুত্র সাইফুল ইসলাম জুয়েল সহ তাদের সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে অতর্কিত ভাবে তার ভোগদখলে থাকা জমিতে বসত ঘর, গোয়ালঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময তারা বাডীর যাবতীয় গাছপালা কেটে ফেলে রেখে যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষ রতন হাওলাদার বাগেরহাট আদালতে মোহরার কাজ করে সেই সুবাদে রতন বিভিন্ন সময় তার ও তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ হাওলাদার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। হামলাকারিরা বাড়ীঘর ভাঙচুর করে ক্ষান্ত হয়নি তারা নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে। হামলা ও ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয় প্রতিপক্ষের সাইফুল ইসলাম জুয়েল তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।