অভিনয়, প্রেম, বিয়ে, সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্বের কারণে বলিউড অভিনেত্রী রেখা চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করার পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। রেখা মানেই যেন রহস্য। রেখা মানেই যেন এক ‘মিথ’। যার একটি রহস্য উন্মোচিত হলে আরেকটি রহস্য সামনে চলে আসে। বাস্তবে এই অভিনয় শিল্পীর জীবন ট্রাজেডির অনন্য উদহারণও বলা যায়। ছোটবেলায় বাবাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি। বড় হয়ে নিজের নামের পাশে রাখেননি বাবার নাম কিংবা পদবী।
রেখা তখন ছোট, তার বাবা জেমিনি গনেশন অন্য স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। রেখার মা পুষ্পাবলি দুই কন্যাকে নিয়ে অতিকষ্টে দিন যাপন করতেন। জেমিনি তার অন্যান্য সন্তানদের স্কুলে দিতে আসতেন। বাবাকে এক নজর দেখার জন্য দূরে দাঁড়িয়ে থাকতেন রেখা। রেখার আসল নাম ভানুরেখা গনেশন৷ কিন্তু এই পদবী ব্যবহার করেন না রেখা। তার নাম থেকে বাবার নাম পদবি বাদ দিয়ে সিনেমা জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বাবার ছায়াহীন সংসারে বেড়ে ওঠা রেখার নিজের সংসারটাও ঠিক মতো হয়ে ওঠেনি। ব্যক্তিজীবনে বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে প্রেম করেছিলেন কিন্তু তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। শোনা যায়, পরিচালকদের রেখা অনুরোধ করতেন তার শুটিং যেন সকালের দিকে রাখা হয়। যাতে সন্ধ্যাটা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাটাতে পারেন।
শোনা যায় পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খানের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার। ১৯৮৫ সালের ১১ জুন স্টার পত্রিকা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন ইমরান খান এবং রেখা। ইমরান খানের সঙ্গেও বিয়েটা হয়নি রেখার। এই অভিনেত্রী ১৯৯০ সালে বিয়ে করেন মুকেশ আগরওয়ালকে। কিন্তু বিয়ের ৭ মাস পরেই আত্মহত্যা করেন মুকেশ। মুকেশের এক পুরনো বন্ধু, দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ‘রেখা বরাবরই সংসার করতে চেয়েছিলেন। তিনি সন্তান চেয়েছিলেন। এমনকি রেখা তারকা জীবন থেকে বের হয়ে আসতেও চেয়েছিলেন। তবে তার ভাগ্যে হয়ত অন্যকিছুই ছিল।’