গাজীপুরের কালীগঞ্জে তালাক প্রাপ্ত প্রথম স্বামীর সাথে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ শাকিরিন আক্তার(২০)। পাঁচ দিন পর ধান ক্ষেত থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নারগানা দক্ষিন পাড়া এলাকায়। নিহত শাকিরিন আক্তার হারুন শেখের মেয়ে। সে এক সন্তানের জননী। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- জানতে পারলাম সে তার তালাক প্রাপ্ত প্রথম স্বামীর সাথে বেড়ানোর কথা বলে ২২ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর থেকে সে নিখোঁজ। এ বিষয়ে শাকিরিনের বাবা হারুন শেখ বাদী হয়ে বুধবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। জিডির এক দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৫ বছরে পূর্বে শাকিরিন প্রেম করে মুন্সিগঞ্জ এলাকার সানি নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। তার ওরসে সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে সে প্রথম স্বামীকে ডির্ভোস দিয়ে পুনরায় প্রেম করে সিলেটের এক যুবকে বিয়ে করেন। সেখানও সে সংসার করতে পারেনি। দ্বিতীয় স্বামীকেও ডির্ভোস দিয়ে ২ মাস আগে চলে আসে বাবার বাড়িতে। পরে বাবার বাড়ি থাকা অবস্থায় পুনরায় তার প্রথম স্বামীর সাথে প্রেমের সখ্যতা গড়ে উঠে। তালক প্রাপ্ত প্রথম স্বামীর ফাঁন্দে পড়ে ঘুরতে গিয়ে জীবন দিতে হলো এমনটিই জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন। স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নারগানা এলাকার বিরেন্দ্র চন্দ্র পালের ধান ক্ষেত থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুজি করে বিরেন্দ্রর ধান ক্ষেতে গিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে ডাকচিৎকার করলে বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে শাকিরিনের মা-বাবাসহ আতœীয় স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তার মেয়ে শাকিরিনের লাশ বলে সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মিঠুন বৌদ্ধ জানান, নিহতের লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। অর্ধগলিত থাকায় শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।