ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ২৭৭ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ একই সাথে মাদক বহনে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল জব্দও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। মঙ্গলবার র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন ভাঙ্গা মোড় হয়ে রাজধানী ঢাকা’র উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল আনুমানিক সকাল ১১ টায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গার টোল প্লাজা এলাকায় একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে। তার কিছুক্ষণ পর সকাল সারে ১১টার দিকে ২টি মোটরসাইকেল র্যাবের চেক পোষ্টের সামনে পৌছালে র্যাব সদস্যরা মোটরসাইকেল দুইটি থামিয়ে মোটরসাইকেলে থাকা ৪ জন আরোহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায় তারা তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে বলে স্বীকার করে। এরপর উক্ত চেক পোস্টে কর্তব্যরত র্যাব সদস্যরা মোটরসাইকেল দুটি তল্লাশি করে এবং মোটর সাইকেলের পাশে ঝুলানো আরোহিদের দেখানো ও বের করে দেওয়া ২টি ব্যাগের ভিতর হতে আনুমানিক আট লাখ একত্রিশ হাজার টাকা মূল্যমানের ২৭৭ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে জালাল উদ্দিন জালাল(২৬), মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার পূর্ব বুরদিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে জীবন ইসলাম সাজ্জাদ(৩০), যশোর জেলার সদর উপজেলার শংকরপুর গ্রামের আশরাফ মোল্যার ছেলে মিন্টু মোল্যা(৩৫), এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা জেলার বান্তপুর গ্রামের শাজাহান বিশ্বাসের ছেলে আনিসুজ্জামান তুহিন(৩৬)। এ সময় তাদের নিকট থেকে মাদক বহনে ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ফরিদপুর ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মাদক আইনে মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।