পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে কলাগাছিয়া সড়কের গুরুত্বপূর্ণ চিকনিকান্দি সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ার উপক্রম সেতুটি। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করায় যে কোনো সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা দ্রুত মেরামত করতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই ব্রিজটির ক্ষত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ঝুঁকিতে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ও ডাকুয়া ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভারানি খাল। সেই খালের উপর নির্মিত ব্রিজ দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত। এক বছরের বেশি সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ধসে গিয়ে বিশাল গর্ত দেখা দিয়েছে। ফলে যানবাহন ও মানুষের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কতৃক এ ব্রীজটি ৬/৭ বছর আগে নির্মিত হলেও প্রায় এক বছর ধরে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের বেহাল দশা। ব্রিজটির পাশেই রয়েছে চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ, কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় , ব্যাংক, এনজিও অফিস ও হাঁট, বাজার। সড়ক পথে যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। ব্রীজটির উত্তর পাশে রয়েছে চিকনিকান্দি ইউনিয়ন ও দক্ষিন পাশে রয়েছে ডাকুয়া ইউনিয়ন। মুলত দক্ষিন পাশেই রয়েছে বিশাল ক্ষত। এ ব্রীজটি দিয়ে আশ পাশের বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরাসহ নানা বয়সী ও পেশার মানুষ গন্তব্যে যাতায়ত করে থাকেন। পাঁচ ইউনিয়ন তথা ডাকুয়া, গজালিয়া, বকুলবাড়ীয়া, চিকনিকান্দি ও কলাগাছিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বাউফল উপজেলায় এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক আসা যাওয়া করে। দিনের বেলায় যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও রাতের বেলায় বৃষ্টির সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ জানান, ব্রীজটির দক্ষিন পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ধসে গিয়ে গর্ত দেখা দিয়েছে দীর্ঘদিন। স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেও সমাধান করছে না। ব্রীজটি সংস্কারের ব্যাপারে এলাকারবাসীর জোর দাবি। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ব্রীজটির জন্য উপজেলা পরিষদ এক লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছিল। কাজটি দ্রুত করার ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি।