বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে ভাসমান সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা চৌদ্দগ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ কালিয়ায় কন্যা শিশু দিবস পালিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন তারাকান্দায় ১০ গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মানববন্ধন : মিশ্র প্রতিক্রিয়া ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিলন সম্পাদক পাভেল কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর মানিকগঞ্জে সাড়ে ৪লাখ ছাগলের বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু আন্দোলনে নিহত নয়নকে বীরের মর্যাদা দেয়া হবে-দুলু

কিশোরগঞ্জে ভাসমান সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

ফকির মতি কিশোরগঞ্জ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

নীল রং ও শুভ্র মেঘে সাজানো শরতের আকাশের নিচে হাওয়ায় দুলছে লাউ, চালকুমড়া, শসাসহ নানান জাতের শাকসবজির লতাপাতা। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, কোনো সবুজ গালিচা। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের কাশোরারচর বিলের ওপর বিষমুক্ত শাকসবজির এ বাগান চোখ জুড়িয়ে দেয়। ১০ একর বিলের অর্ধেকের বেশি অংশে কৃষকরা তৈরি করেছেন ২০০টি বেড। তাদের কেউ নৌকা নিয়ে, কেউ পানিতে নেমে বাগান পরিচর্যা করেন। আর এভাবে সবজি চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক। জানা গেছে, ‘ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা ফসল চাষ, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস এ বছর মহিনন্দ ও কলাপাড়া ব্লকে ৫০টি প্রদর্শনী করছে। এর মধ্যে ১০টি প্রদর্শনী হবে মসলাজাতীয় ফসলের। কাসুরারচর বিলের কচুরিপানা পচিয়ে লম্বা লম্বা ভাসমান বেড তৈরি করে সেখানে শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে চাষ করতে বাড়তি কোনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োজন হয় না। ক্ষতিকর পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে কিছু কিছু জায়গায় বসানো হয়েছে ‘সেক্স ফেরোমন ফাঁদ’। ভাসমান বেডের শাকসবজি জনস্বা¯ে’্যর জন্য নিরাপদ। তবে দাম কিছুটা বেশি। কাশোরারচর এলাকার কৃষক ফয়েজ উদ্দিন চারজনের দল নিয়ে ৫০টি বেডে শাকসবজি আবাদ করছেন। মফিজ উদ্দিন পাঠান ও রাজীব মিয়া ৫১টি বেডে আবাদ করেছেন।
রুহুল আমিনের রয়েছে ৩৮টি বেড। তারা জানান, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বীজ, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, প্লাস্টিকের নৌকাসহ উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেছে। তাদের নিজস্ব জমি নেই। ফলে কৃষি অফিসের সহায়তায় হাজামজা বিলে ভাসমান বেডে শাকসবজির চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মহিনন্দ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম জেবুন্নেছা জানান, এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে ভাসমান বেডে শাকসবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার ফাহিম জানান, এটি সাত মাসের প্রকল্প। বর্তমানে তিন মাস চলছে। এরই মধ্যে আশাতীত ফল পাওয়া যাচ্ছে। জমির শাকসবজি অতিবর্ষণ, বর্ষা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এতে ভাসমান বেডের শাকসবজির কোনো ক্ষতি হয় না। ফলে জমির শাকসবজির যখন আকাল দেখা দেয়, তখন ভাসমান বেড থেকে বাজারে শাকসবজির জোগান পাওয়া যায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com