লিওনেল মেসির অর্জনের খাতায় উঠেছে নতুন নাম। সাফল্যের পাল্লা হয়েছে ভারী, পেয়েছেন নতুন শিরোপার স্বাদ। প্রথমবারের মতো জিতেছেন সাপোর্টার্স শিল্ড শিরোপা। যদিও বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল শিরোপার লড়াই।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে কলম্বাস ক্রুকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড জিতে নেয় মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি। জোড়া গোল করেন মেসি। অন্যটি বন্ধু লুইস সোয়ারেজের। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই লড়াই জমে উঠেছিল দারুণ। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে পাঁচ মিনিটের মাঝে জোড়া গোল করে ম্যাচ একপেশে করে ফেলার ইঙ্গিত দেন মেসি। ৪৫তম মিনিটে আসে প্রথম গোল। মাঝমাঠের কাছকাছি থেকে বিশাল লম্বা করে উঁচু বল বাড়িয়ে দেন জর্দি আলবা। কলম্বার ক্রুর বক্সের কাছাকাছি সেটা বুক দিয়ে নামান মেসি। এরপর সেই ছবির মতো গোল। প্রথমে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে বল বের করে এগিয়ে যান তিনি বক্সের ভেতর। এরপর পাশ কাটান গোলকিপারকেও। এরপর জাল আর বলের মধ্যে বাধা হতে পারেনি কেউ। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই, প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জাদুকরী ফ্রি কিকে মেসি এনে দেন দ্বিতীয় গোল। কলম্বাসের গড়ে তোলা মানব দেয়ালের পাশ দিয়ে বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান তিনি। গোলকিপারের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না।
২-০ তে এগিয়ে বিরতিতে গেলেও আধিপত্য ধরে রাখা হয়নি মায়ামির। যদিও ম্যাচের উত্তেজনা সেখানেই শেষ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি গোল শোধ করে দেয় কলমবাস। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকেনি। দুই মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেজ। সতীর্থের দূরপাল্লার উঁচু পাশে লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে দেন সুয়ারেজ। ব্যবধান ফের বেড়ে দাঁড়ায় ৩-১। তবে ৬১ মিনিটে আরো একটা গোল আদায় করে বসে কলম্বাস। ফলে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে তারা। তবে ৬৩ মিনিটে তাদের একজন ফুটবলার লাল কার্ড দেখলে খানিকটা চাপ বাড়ে। এর মাঝেও আবার সুযোগ এসেছিল। ৮৪তম মিনিটে পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু মায়ামি গোলকিপার ক্যালেন্ডার ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন শট। এরপর আর নাটকীয় কিছু না হলে জয় নিয়েই শিরোপা উল্লাস করে মায়ামি। ৩২ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড নিশ্চিত করে মায়ামি।