মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের তেল স্থাপনায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি আক্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের সাংবাদিকরা বাইডেনকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইসরায়েল কি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে গিয়ে তেহরানের তেল স্থাপনায় আক্রমণ চালাবে? এর জবাবে বাইডেন বলেছেন, আমরা আলোচনা করছি।
বাইডেনের এই মন্তব্যের পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম পাঁচ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে বাইডেন বলেছেন সর্বাত্মক লড়াই এড়ানো যাবে বলে আমি মনে করি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি মনে করি, আমরা তা এড়াতে পারব। তবে আমরা ইসরায়েলকে সাহায্য করব। তিনি বলেন, আজই কিছু হচ্ছে না। এর আগে বাইডেন জানান, ইরানের পারমানবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা তিনি সমর্থন করেন না।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেছেন, প্রত্যাঘাতের ক্ষেত্রে অনেক বিকল্প আছে। আমরা শিগগিরই তেহরানকে আমাদের শক্তি কতটা তা দেখাতে পারব।’ গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তারা এর কড়া জবাব দেবে। অন্যদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আক্রান্ত হলে তারাও প্রত্যাঘাত করতে তৈরি। তিনি জানান, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী, জঙ্গি হামলা হলে বা কেউ যদি সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী তার জবাব দেবে।
ডয়চে ভেলে বলছে, বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত আছে। শুক্রবার সকালেও বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলা হয়েছে বলে লেবাননের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে এতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ ছাড়া বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতেও মধ্যরাতের পর ইসরায়েলের বিমান হামলা হয়েছে। এই জায়গা হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, হাসান নাসরাল্লার সম্বাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছে, সেই হাশেম সাফিয়েদ্দিনকে টার্গেট করেছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের সেনা এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।