আগামী ৮ই অক্টোবর থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার বিকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি সময়ে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবি একাধিক সূত্রের। এদিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এনডিসি জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণবশত সম্মানিত পর্যটকগণকে আগামী ৮ অক্টোবর হতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সমগ্র রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসন থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এই অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, তিন পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশনা জারি হয়েছে। তিনি জানান, পাহাড়ে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরআগে, রাঙামাটির সাজেকে পর্যটক প্রবেশে পর্যটকদের নিরুৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে নতুন সিদ্ধান্তের আলোকে সাজেকে পর্যটক প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
এদিকে, পাহাড়ের চলমান সার্বিক পরিস্থিতিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন কঠিন
চীবর দানানুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। উল্লেখ্য, দুর্গাপূজাকে ঘিরে বান্দরবানে হোটেল মোটেলগুলোতে অনেক বুকিং পেয়েছিল ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে বুকিং বাতিল হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।