শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

জামালপুরে কৃষকদের সর্বোচ্চ সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে সিভিএ প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

জামালপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

জামালপুরে কর্মএলাকার ২৫ হাজার কৃষক পরিবারের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন সৃষ্টির লক্ষে সরকারি, বেসরকারি পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ সেবাপ্রাপ্তি ও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের কৌশল আয়ত্ব করতে ‘সিটিজেন ভয়েজ এন্ড এ্যাকশন (সিভিএ) এর উপর তিনদিনব্যপী প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার সমাপ্ত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং উন্নয়ন সংঘের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (জেসমিন) প্রকল্পের মাধ্যমে আয়োজিত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের জেসমিন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অসীম চ্যাটার্জী। এতে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল প্রমুখ। প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, তানজিমুল ইসলাম, সঞ্জয় মন্ডল। প্রশিক্ষণে ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের কর্মকর্তারা অংশ নেন। গত ৬ অক্টোবর প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনি মিলড্রেড ডি’ ক্রুজ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে। প্রশিক্ষণ সূত্র জানায় সিটিজেন ভয়েজ এন্ড এ্যাকশন প্রক্রিয়া হিসেবে নাগরিক অংশগ্রহণ সক্রিয়করণ, সেবার মানোন্নয়ন ও সরকারি নীতি প্রভাবিতকরণ এবং গণজমায়েতের মাধ্যমে সম্পৃক্তকরণ এসব কৌশলগুলোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা উন্নয়ন লাভ করেন বলে আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানায়। প্রশিক্ষণার্থী জানান এ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির ফলে কৃষক পরিবারগুলো ও গঠিত দলগুলোকে কার্যকর এবং কাঙ্খিত ফলাফল লাভে তারা অবদান রাখতে পারবে। যা জেসমিন প্রকল্পের লক্ষ্য- উদ্দেশ্য সফল বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং উন্নয়ন সংঘের যৌথ উদ্যোগে জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (জেসমিন) প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মএলাকায় উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন, পুষ্টি উন্নয়ন এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করছে। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া এইডের আর্থিক সহায়তায় চার উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার উপকারভোগীর মাঝে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ চলবে বলে আয়োজক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘ সূত্র জানায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com