ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে চলে এসেছেন। লিওনেল মেসি কোনদিন হুট করে অবসর ঘোষণা করে দেন, সেই আতঙ্কে থাকেন তার ভক্তরা। মেসি অবশ্য তার অবসর নিয়ে ধোঁয়াশাই রেখে দিয়েছেন। যেহেতু খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও, সবার আগ্রহ একবিন্দুতে- ২০২৬ বিশ্বকাপে কি দেখা যাবে এই ফুটবল কিংবদন্তিকে? সম্প্রতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে মেসির পারফরম্যান্সের পর এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬-০ গোলের বিশাল জয় পায় আর্জেন্টিনা, হ্যাটট্রিকসহ যে ম্যাচে ৫ গোলেই অবদান ছিল মেসির।
৩৭ পেরোনো আর্জেন্টাইন তারকা ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার পথে একমাত্র বাধা হতে পারে বয়স। কিন্তু এখন পর্যন্ত তো মেসির খেলায় মনে হচ্ছে না, বয়সের ভারে তিনি নুয়ে পড়ছেন। অন্ততপক্ষে বলিভিয়ার বিপক্ষে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর সমালোচকরাও আর সে কথা বলবেন না।
মেসি নিজে কী ভাবছেন? তিনি কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান? মিয়ামিতে সম্মানসূচক ‘মার্কা আমেরিকা অ্যাওয়ার্ড’ জেতার পর মেসির কাছে ছুটে গেলো সেই প্রশ্নটা। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আবারও কৌশলে এড়িয়ে গেলেন।
অনেকেই ভেবেছিলেন, ক্যারিয়ারের শেষ দেখতে পেয়েই ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে ইন্টার মিয়ামিতে পাড়ি জমিয়েছেন মেসি। কিন্তু মেসির ভাবনা ভিন্ন। বৃহস্পতিবার রাতে ‘মার্কা আমেরিকা অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ইন্টার মিয়ামিতে আসা মানেই যে আমি দ্রুত অবসর নিয়ে নিচ্ছি, এমনটা নয়। আমার আরও কয়েক বছর খেলার আছে।’
মেসি জপছেন কেবল উপভোগের মন্ত্র। তার কথা, ‘এই মুহূর্তে…দেখা যাক! সময় চলে যাচ্ছে বা সামনে কী হচ্ছে, আমি এসব নিয়ে ভাবি না। আমি প্রতিদিন উপভোগ করার চেষ্টা করি। আশা করি আমি এই স্তরে খেলা চালিয়ে যেতে পারব যাতে ভালো লাগে এবং খুশি হতে পারি।’ ২০২৬ বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে মেসি বলেন, ‘যখন আমি আমার পছন্দের কাজটা করতে পারি, আমি খুশি থাকি। ২০২৬ নিয়ে ভাবার চেয়ে এটিই আমার কাছে বেশি মূল্যবান। আমি বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য স্থির করিনি, বরং প্রতিদিন বেঁচে থাকা এবং ভালো থাকা নিয়েই ভাবি।’
বয়স বেড়েছে, তারপরও শিরোপা ক্ষুধা কমেনি মেসির। সেজন্যই বোধ হয় মুখে এমন কথা, ‘যদিও আমার কিছুটা বয়স হয়ে গেছে, পরিবারও বড় হচ্ছে। কিন্তু আমার শিরোপা ক্ষুধা এখনও আছে। যখন আমি তাদের সমর্থনটা অনুভব করি, অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠি।